Samakal:
2025-05-11@01:00:34 GMT

ইন্টারনেট সেবা উৎকৃষ্ট হবে?

Published: 10th, May 2025 GMT

ইন্টারনেট সেবা উৎকৃষ্ট হবে?

ইন্টারনেট সেবায় বৈশ্বিক যে কোনো সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওকলা স্পিড টেস্ট চলতি বছরের মার্চে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেটে ৮৬তম আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১০০তম অবস্থানে আছে। আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবও একাধিক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবার মান ‘নিকৃষ্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। 

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মতে, বর্তমানে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ১১ কোটি ৬০ লাখ আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক ১ কোটি ৪০ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রকৃতই ১৩ কোটি কিনা তা নিয়েও অবশ্য বিতর্ক আছে। 

সংখ্যার বিতর্ক আপাতত পাশে রেখে ইন্টারনেটের গতি ও দাম নিয়ে কথা বলা যাক। এ ক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ডের বিকল্প নেই। ব্রডব্যান্ড যেমন গতির নিশ্চয়তা দেয়, তেমনি সাশ্রয়ীও বটে। তবে চড়া দামের প্যাকেজনির্ভর মোবাইল ইন্টারনেট প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছালেও নানা কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেনি। ফলে গতিময় ইন্টারনেট থেকে যে সুবিধা আমাদের পাওয়ার সুযোগ ছিল তা থেকে আমরা বঞ্চিত আছি। 
আশার কথা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার এ খাতটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং ব্যবস্থার সংস্কার নীতিমালা ২০২৫ (খসড়া)’ প্রকাশ করেছে বিটিআরসি।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় ইন্টারনেট সেবার বহুস্তরকে তিনটিতে নামিয়ে আনা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ), ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জের (নিক্স) মতো স্তরগুলো আর থাকছে না। এসব সেবানির্ভর প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেই তাদের বিলুপ্তি ঘটবে। 
প্রস্তাবিত নীতিমালায় গ্রাহক পর্যায়ে সেবাদানকারী হিসেবে ‘অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (এএনএসপি)’ জাতীয় পর্যায়ে কানেক্টিভিটি সেবাদানকারী হিসেবে ‘ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডারস (এনআইসিএসপি)’ এবং আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি সেবাদাতাকে আইসিএসপি ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে। 

নতুন এ স্তর বিন্যাসের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবার মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে সেবাদাতাদের সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। ইন্টারনেট সেবা বিশেষ করে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহারকারীর প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি না হওয়ার পেছনে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সেবাদাতা শীর্ষ দুটি কোম্পানির মনোপলিকে দায়ী করা হয়। নতুন গাইডলাইনে এ মনোপলি ভাঙার কথা বলা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অপটিক্যাল ফাইবারনির্ভর ব্যাকহোল ট্রান্সমিশন এবং কানেক্টিভিটি খরচ যতটা সম্ভব কমানো হবে। এখানে এনটিটিএন বড় বাধা। নতুন নীতিমালায় এনটিটিএন সেবাদাতারা এনআইসিএসপি হিসেবে লাইসেন্স পাবেন।’ খসড়া নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘এএনএসপি তাদের মূল, শেষ মাইল সংযোগ, সুইচ, রেডিও নেটওয়ার্ক ইত্যাদি অবকাঠামো ‘একটিভ শেয়ারিং’ তথা একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করার সুযোগ পাবে।’’ এতে করে আরও কম খরচে গতিময় ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে এনআইসিএসপি কোম্পানিরা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা (আইএসপি) এ সুবিধাটি পেত না। ফলে চড়ামূল্যে এ সেবা এনটিটিএন থেকে ক্রয়ে বাধ্য হতো আইএসপিরা। নতুন নীতিমালায় সংযোজিত অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুযোগ এনটিটিএন কোম্পানিগুলো মানতে রাজি নয়। মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের অজুহাতে তারা অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুবিধা যে কোনো মূল্যে বাতিল করতে চায়। জনমানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ‘অ্যাকটিভ শেয়ারিং’ সুবিধা চূড়ান্ত নীতিমালাতেও আমরা সেটি দেখতে চাই। 

ইন্টারনেট সাশ্রয়ী করার পাশাপাশি এর গতির বাধা অপসারণে আরও একটি দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল কোম্পানিগুলো নতুন করে ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবার (অব্যবহৃত অপটিক্যাল কেবল) সুবিধা পাচ্ছে। ডিডব্লিউডিএম যন্ত্রের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত হয়। গ্রাহক নির্ধারিত গতিতে সেবা পাচ্ছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণ, নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং মুহূর্তেই ফাইবার কাটা পড়ার নির্দিষ্ট স্থান শনাক্ত করা যায় ডিডব্লিউডিএম মেশিনের মাধ্যমে। এটি দীর্ঘ দূরত্বে ডেটা, ভয়েস এবং ভিডিওর মতো প্রচুর পরিমাণে ডেটা পাঠানোর সুবিধা দেয়। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে এই মেশিন আমদানি করে ফাইবার নেটওয়ার্কে বসাত মোবাইল অপারেটররা। ২০২১ সালে এই সুযোগ শুধু এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়। দেশজুড়ে গতিময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে বিটিআরসি ফের ডিডব্লিউডিএম প্রযুক্তির সুবিধা মোবাইল অপারেটরদেরও দিয়েছে। 

বিটিআরসির এ উদ্যোগের শুরু থেকে বিরোধিতা করে আসছে ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানি (আইএসপি), আইআইজি, এনটিটিএনসহ মূলত অপটিক্যাল ফাইবারনির্ভর ইন্টারনেট সেবাদাতারা। তাদের ভাষ্য হচ্ছে, ‘মোবাইল অপারেটর ডিডব্লিউডিএম প্রযুক্তির সুবিধা পেলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। ব্রডব্যান্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো টেলিকম অপারেটরের তুলনায় আর্থিক সক্ষমতায় যোজন যোজন পিছিয়ে, ফলে ব্রডব্যান্ড সেবাদাতা হিসেবে ছোট ছোট এসব প্রতিষ্ঠান মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে টিকতে পারবে না। শত শত দেশীয় উদ্যোক্তা পথে বসে যাবে।’ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের দাবি হচ্ছে, টেলিকম অপারেটররা যেন ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়ার সুযোগ না পায়। আইএসপির এ দাবিরও প্রতিফলন আছে খসড়া নীতিমালায়। খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালায় আইএসপিদের দাবি মেনে মোবাইল অপারেটরদের জন্য তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার অনুমোদন দিলেও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবা চালুর সুযোগ রাখা হয়নি। বলা যায় এতে করে ব্রডব্যান্ড ব্যবসার ক্ষেত্রে এক ধরনের ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এখন সেটি কেবল চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষা। 

আমরা চাই, ইন্টারনেট সেবা নিকৃষ্টের তকমা ঝেড়ে ফেলে সত্যিকার অর্থে উৎকৃষ্ট ও  জনবান্ধব হয়ে উঠুক। এজন্য ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে যুক্ত সব সেবাদাতার জন্যই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষ করে এ খাতে বিনিয়োগ করা শত শত ক্ষুদ্র এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। আমরা দেখেছি, মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যান্ডউইথের দাম কমালেও ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমাতে বরাবরই অনীহা দেখিয়েছে। তাদের ভাষ্য হচ্ছে, ইন্টারনেট সেবাপ্রদানে তাদের মোট খরচের তুলনায় ব্যান্ডউইথের খরচ নগণ্য, ফলে ব্যান্ডউইথের দাম কমলেও ইন্টারনেট প্যাকেজে তার প্রভাব পড়ে না। 

গত ২১ এপ্রিল ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নির্দেশনা মেনে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি তাদের সব আইআইজি ও আইএসপি গ্রাহকের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। আইএসপি কোম্পানিগুলোর সংগঠন ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম (নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র-ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) ও ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে। এ অবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।’ 
কিন্তু বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেটের দাম কমানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গ্রাহকের অজান্তে মোবাইল ফোনের ব্যালান্স কেটে নেওয়া, কল ড্রপ, দুর্বল নেটওয়ার্ক, প্যাকেজের (ভয়েস ও ডেটা বান্ডেল) অতিরিক্ত দাম, ইন্টারনেটের গতি নিয়ে গ্রাহকদের হাজার হাজার অভিযোগ। বিটিআরসিতে জমা হয়ে আছে অভিযোগের পাহাড়। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় মোবাইল অপারেটরদের জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। দ্রুততম সময়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগের সুরাহা করতে হবে। 

নতুন নীতিমালায় প্রদত্ত সুবিধা নিয়ে মোবাইল অপারেটররা যেন কানোভাবেই ‘অসম প্রতিযোগিতায়’ লিপ্ত না হয় সেটি বিটিআরসিকেই নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগদাতারা যেন ওভারহেড কেবল (ঝুলন্ত তার) ব্যবহারের সুযোগ না পায় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। খাম্বায় ঝুলিয়ে রাখা তারের জঞ্জাল দিয়ে আর যাই হোক উৎকৃষ্ট মানের ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।

হাসান জাকির : সহকারী সম্পাদক, সমকাল
prantojakir@gmail.

com

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব রডব য ন ড স ব ন শ চ ত কর ন টওয় র ক অপট ক য ল র দ ম কম ব যবহ র ব ট আরস পর য য় গ র হক র জন য ন র ভর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

এক রাতে ভারতের ১২ ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ভারত গত রাতে “বিভিন্ন স্থানে হেরাপ ড্রোন পাঠিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরো একটি স্পষ্ট সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সতর্কতার উচ্চ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ১২টি হেরাপ ড্রোন ধ্বংস করেছে।”

আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, ১৩তম ভারতীয় ড্রোন ‘লাহোরের কাছে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আংশিকভাবে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।’ এতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে: দার

ট্রাম্প চান, ভারত-পাকিস্তান থেমে যাক

তিনি বলেন, “লাহোরের কাছে এই হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন এবং সরঞ্জামের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।”

লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারতের এই হারোপ ড্রোন পাঠানোর প্রক্রিয়াটি ‘গুরুতর উস্কানি।’

তিনি বলেন, “এই নগ্ন আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ মাত্রার সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং আমরা যখন কথা বলছি তখন তাদের নিষ্ক্রিয় করছে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের পাঠানো ৩০টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন ধ্বংস করার দাবি পাকিস্তানের
  • ভূপাতিত ২৫ ড্রোন ইসরায়েলের তৈরি: পাকিস্তান আইএসপিআর
  • ভূপাতিত করা ২৫ ড্রোন ইসরায়েলের তৈরি: পাকিস্তান আইএসপিআর
  • ভারত হামলায় ইসরায়েলের ড্রোন ব্যবহার করেছে: পাকিস্তান আইএসপিআর
  • সীমানা লঙ্ঘন করায় ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে: পাকিস্তান
  • সীমানা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা ভারতের, ১২টি ভূপাতিত
  • এক রাতে ভারতের ১২ ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান