চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বারইয়ারহাট–খাগড়াছড়ি সড়কে সিমেন্ট–বোঝাই একটি ট্রাক উল্টে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের নয়টিলা মাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেলা দুইটা পর্যন্ত উল্টে যাওয়া ট্রাকটির পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে বিকল্প সড়ক তৈরি করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বারইয়ারহাট–খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে সিমেন্ট–বোঝাই একটি ট্রাক খাগড়াছড়ি শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথে করেরহাট ইউনিয়নের নয়টিলা মাজার এলাকায় পাহাড়ি খাড়া রাস্তা ধরে ওঠার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে সড়কের ওপর আড়াআড়িভাবে ট্রাকটি উল্টে যায়। এ সময় দুই লেনের সড়কটিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এক্সকাভেটর এনে উল্টে যাওয়া ট্রাকের পাশে তাৎক্ষণিক একটি বিকল্প সড়ক তৈরি করে ছোট যানবাহনগুলো চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে করেরহাট ইউনিয়নের নয়টিলা মাজার এলাকায় পাহাড়ি খাড়া রাস্তা দিয়ে উঠতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সিমেন্ট–বোঝাই একটি ট্রাক সড়কের ওপর উল্টে যায়। এতে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে এক্সকাভেটর দিয়ে এক পাশে বিকল্প রাস্তা করে ছোট যানবাহনগুলো চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। উল্টে যাওয়া ট্রাকটি সরিয়ে নিতে কাজ চলছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সড়কের এই অংশে পাহাড়ি খাড়া রাস্তায় প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ