বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বার্ষিক ভ্রমণ কোটার বাইরে চিকিৎসার জন্য বছরে ১৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারবে ব্যাংক। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না। এতদিন সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১০ হাজার ডলার। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়।

ভ্রমণ কোটায় এমনিতেই একজন বছরে ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারেন। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতির দরকার হয় না। ব্যাংকগুলোই এ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এনডোর্স করতে পারে। এর বাইরে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় সীমা ১০ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হলো। কারও চিকিৎসায় এর বেশি খরচ প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ের পক্ষে প্রমাণ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি হাসপাতালের নামে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় কিংবা আন্তর্জাতিক কার্ডের বিপরীতে অর্থ ছাড় করতে পারে ব্যাংক। নির্ধারিত এ সীমার মধ্যে নগদ ৫ হাজার ডলার ছাড় করা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.

আহসান এইচ মনসুর গত ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানে জানান, বিদেশে চিকিৎসার পেছনে বাংলাদেশিরা বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেন। এর বড় অংশই অনানুষ্ঠিকভাবে ভ্রমণ ভিসায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান। এ খরচ বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ওপর চাপ তৈরি করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এতদিন চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশই যেত ভারতে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশটিতে ভিসা পাওয়া জটিল হয়ে গেছে। এখন যেসব দেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবেই খরচ মেটাতে হয়। যে কারণে সীমা বাড়ানো হয়েছে। সীমা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকগুলো চিকিৎসা ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড় করতে পারবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র অন ম ছ ড় কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯