দেশের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার। সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে গাজার বাসিন্দারা

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বসবাসরত প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে। জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের টানা অবরোধের কারণে ত্রাণ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। এর ফলে সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম খাদ্য সংকটের’ মুখোমুখি হচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আইপিসি মূলত জাতিসংঘ, দাতা সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি সংস্থা, যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল একটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে কি-না, তার প্রাথমিক মূল্যায়ন করে থাকে।

সোমবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পর থেকেই গাজার খাদ্য পরিস্থিতিতে ‘বড় ধরনের অবনতি’ ঘটেছে। বর্তমানে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে যে, ইসরায়েল ও হামাসের দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে গাজায় ‘সাময়িক স্বস্তি’ ফিরেছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে নতুন করে বৈরিতা শুরু হওয়ায়য় গাজাবাসীকে পুনরায় উদ্বিগ্ন করে তুলছে। বিশেষ করে, গত মার্চের শুরু থেকে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের অব্যাহত বাধা পরিস্থিতিতে আরোজটিল করে তুলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে গাজার প্রায় দুই লাখ ৪৪ হাজার মানুষ ‘তীব্র’ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

গত মার্চ মাসের মধ্যভাগ থেকে গাজায় আবারো অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর গত দুই মাস ধরে সেখানে খাদ্য, ওষুধ সহ জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

গাজার সাহায্যকর্মীরা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন,সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়েছে, গুদামগুলৈা খালি ছিল এবং অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা করা মানবিক দলগুলোকে একজনের জন্য তৈরি রেশন দুজন রোগীর মধ্যে ভাগ করে নিতে বাধ্য করা হচ্ছিল যাতে উভয় রোগীর বেঁচে থাকার সুযোগ থাকে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ