জুবাইদা রহমানের দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
Published: 13th, May 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করার অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জোবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জোবাইদা রহমানের আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জুবাইদা রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব ছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেটা মার্জনা করেছেন। এখন ডা.
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০২৩ সালের গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা/এম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন রহম ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ