চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রযোজনায় গুগলের নতুন উদ্যোগ
Published: 13th, May 2025 GMT
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জন্য আধেয় বা কনটেন্ট তৈরিতে যুক্ত হচ্ছে গুগল। ‘হান্ড্রেড জিরো’ নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক খুঁজে বের করে সেগুলোর অর্থায়ন ও সহপ্রযোজনায় অংশ নিতে চায় তারা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গুগলের মালিকানাধীন অ্যালফাবেট করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে রেইঞ্জ মিডিয়া পার্টনার্স নামের একটি প্রতিভা ব্যবস্থাপনা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে। রেইঞ্জ ইতিমধ্যে ‘আ কমপ্লিট আননোন’ এবং ‘লংলেগস’-এর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগল এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং বাস্তব ও ভার্চ্যুয়াল জগতের সমন্বয়ে নির্মিত ‘স্পেশাল কম্পিউটিং’ প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বিস্তৃত করতে চায়। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্বাধীন ধারার ভৌতিক চলচ্চিত্র ‘কাকু’–এর বিপণনে এই উদ্যোগ থেকে সহায়তা করা হয়েছিল। বিনোদনবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম লেটারবক্সডের তথ্যানুসারে, ‘এক শ জিরো’ ছিল চলচ্চিত্রটির অন্যতম প্রযোজক।
২০২৩ সালের অভিনয়শিল্পী ও চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘটের পর যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র শিল্পে ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি বিদেশে নির্মিত চলচ্চিত্রে সম্ভাব্য আমদানি শুল্ক আরোপের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের এই পদক্ষেপকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গুগল এরই মধ্যে রেইঞ্জ মিডিয়ার সঙ্গে একটি পৃথক অংশীদারত্বে যুক্ত হয়েছে, যার আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে ১৮ মাসের একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত প্রথম দুটি চলচ্চিত্র ‘সুইটওয়াটার’ এবং ‘লুসিড’ এ বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে ‘এক শ জিরো’ প্রকল্পের তৈরি কনটেন্ট ইউটিউবে প্রচার করা হবে না। সেগুলো বিক্রি করা হবে বড় স্টুডিও ও নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং সেবাদানকারী প্ল্যাটফর্মে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ‘ইউটিউব অরিজিনালস’ নামে নিজস্ব প্রযোজনায় মৌলিক কনটেন্ট নির্মাণ শুরু করে ইউটিউব। তবে ২০২২ সালে সে প্রকল্প বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীদের তৈরি ভিডিও ও শর্টস নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য কনটেন্টে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র প রকল প কনট ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেলেন ৩৫ হাজার উদ্যোক্তা
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে নানা ধরনের কর্মসূচি থেকে সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থাটির চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সভায় মুসফিকুর রহমান বলেন, গত অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের নানা কর্মসূচির আওতায় সরাসরি সুবিধা ভোগ করেন ৩৪ হাজার ৭২০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। এর মধ্যে ১৭ হাজার ১ পুরুষ ও ১৭ হাজার ৭১৯ নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সভায় গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়িত কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন। এ সময় দেশের এসএমই খাত উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে বাজেটে এই খাতের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান উদ্যোক্তারা।
আনোয়ার হোসেন জানান, এসএমই ফাউন্ডেশন গত অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ৬৯২টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান, ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৪, যশোর ও ময়মনসিংহে বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৩, সপ্তম ক্রেতা–বিক্রেতা সম্মিলন ও পণ্য মেলা ২০২৩ ও চট্টগ্রামে ১৪তম ইন্টারন্যাশনাল এসএমই ওমেন এক্সপো ২০২৪ আয়োজন। এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশন চুক্তি করেছে। ময়মনসিংহে বিভাগীয় এসএমই উদ্যোক্তা–ব্যাংকার সম্মেলন ২০২৩ আয়োজন, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ওয়ান–স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘উই হেল্প’ উদ্বোধন, ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪–এ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া ১৯তম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস ২০২৩–এ এসএমই ফাউন্ডেশনের অংশগ্রহণ, ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা নিয়ে অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে চারটি জেলায় এসএমই ক্লাস্টার প্রদর্শন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে ১৪১টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করা হয়। পাশাপাশি সংস্থাটির কার্যক্রমের ওপর পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।
সভায় সাধারণ সদস্যরা বলেন, দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনীতিতে এই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।