এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

যে ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী রোকসানা খাতুন, মা রাবেয়া খাতুন, বোন হাসমত আরা, দুই ভগ্নিপতি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (স্ত্রী হোসনে আরা), নাসির উদ্দিন (স্ত্রী শারমিন আক্তার) ও নাসিরের ভাই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আকিজ উদ্দিনের শ্যালক গোলামুর রহমান, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী আলমাস আলী, ব্যবসায়ী বেদার উল ইসলাম, এস আলম রিফাইন সুগার ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা এস এম জামাল উদ্দিন।

দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। এ অবস্থায় এস আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ জন যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। অথচ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ না করা গেলে সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে যাবে। শুনানি নিয়ে আদালত ওই ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিন দফায় সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ১৬ হাজার কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

আনিসুল হকের এপিএসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও গরু পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

প্রোগ্রামারের সম্পদ জব্দ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মো.

আবদুল কাদেরের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই সম্পদের তালিকায় রয়েছে শ্যামপুরে একটি ছয়তলা বাড়ি ও সাড়ে চার কাঠা জমি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস আলম ব যবস আলম র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

হামলা মামলায় তিন ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পলাশে ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নরসিংদী র‍্যাব-১১ এর কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ।

এর আগে ১০ এপ্রিল পলাশ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোজাম্মেল হক। তিনি পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে। 

নরসিংদীর র‍্যাব-১১ এর কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী, সেটা মুখ্য নয়; অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে ছাত্রদলের তিন নেতা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মী। বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম হোসাইন জানান, প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ