এবার নতুন করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান বাতিল করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ করা ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছিলেন ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টির করমুক্ত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারাতে চলেছে বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুদান বাতিল করার কথা জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। কয়েক দিন ধরেই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চরম সংঘাতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আগের দিনেও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান মাইকেলহু গার্বার সেখানের প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকার করেন। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগে

ফেডারেল সরকারের ৮টি সংস্থা হার্ভার্ডের প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে, যা আগে বন্ধ করা ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত।

মার্কিন সরকারের শিক্ষা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের আইনজীবীদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হার্ভার্ডের ক্যাম্পাসে একটি সমস্যা বিরাজ করছে। আর জবাবদিহিতার চেয়ে শান্তিপূর্ণতা বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নেতারা করদাতাদের সহায়তা পাওয়ার দাবি হারিয়ে ফেলেছেন।’

হার্ভার্ড তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউসের এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, বেতন কম, কারিগরিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা১৩ মে ২০২৫

হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ ২৩০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল রাতারাতি আটকে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ছয় কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়। এই নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, কোটি কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। এবার ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অন দ ন ব ৪৫০ ম ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবাসীদের চাঁদার হার কমছে, বাড়বে বেসরকারি চাকরিজীবীদের চাঁদা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের চাঁদার হার কমবে এবং বেসরকারি চাকরিজীবীদের চাঁদার হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন  আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

পেনশন স্কিমকে গতিশীল করতে কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রবাসীদের জন্য চালু করা প্রবাস স্কিমের সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হবে। সেই সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হবে।

আরো পড়ুন:

সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা
দুটি নোবেল পাওয়ার জন্য চবি গর্ববোধ করতে পারে

১৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক
জাতীয় স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: বিডা চেয়ারম্যান

পাশাপাশি একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-
(১) একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে।
(২) প্রবাস এবং প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী অনেকের মাসিক আয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম হওয়ায় এ দুটি স্কিমে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার দুই হাজার টাকার পরিবর্তে এক টাকা করার সিদ্ধান্ত হয় এবং প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি অংশের মাসিক আয় বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের গড় মাসিক আয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় তাদের সুবিধার্থে মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে।
(৩) আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা চুক্তির আওতায় নিয়োজিত সেবাকর্মীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

(৪) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ) সদস্যপদ গ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে করবে।
(৫) পেনশন স্কিমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য গৃহীত প্রচার কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক) এবং ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। পাশাপাশি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, টকশো ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারকালে বিজ্ঞাপন প্রচার ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চলমান প্রচার কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
(৬) সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর বিষয়টি পরীক্ষা করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ