চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে মল্লিকা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রেখে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ৪০ মিটিন পর ট্রেনটি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, রাজশাহী থেকে ধূমকেতু, পদ্মা, সিল্কসিটি ও মধুমতি এক্সপ্রেস ঢাকা রুটে নিয়মিত চলাচল করে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এসব ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে না। আঞ্চলিক বৈষম্য মনোভাবের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী রেল যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ওসির বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন

হাসনাতের ওপর হামলায় বিএনপি নেতা আসামি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ওবায়দুল্লাহ বলেন, ট্রেন আটকে রেখে বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এ কারণে মল্লিকা এক্সপ্রেসের শিডিউল বিপর্যয় হয়। পরে  আয়োজকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে প্রায় ৪০ মিনিট পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সুজনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ট্রেনে যাত্রীসেবা আরো বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেলস্টেশনগুলো আধুনিকায়সহ দখল মুক্ত করা, আমনুরা বাইপাস রেলস্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের ৫ মিনিটের যাত্রাবিরতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- সোনামসজিদ স্থলবন্দর ছয়লেনে উন্নতি করা।

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এই মানববন্ধন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক পরেশ চন্দ্র শীল ও তাঁর ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলের মুক্তির দাবিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার–নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে বুলডোজার দিয়ে খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির উচ্ছেদ এবং মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

খিলক্ষেতের মন্দির ভাঙার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার হালদার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে ৭২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে খিলক্ষেত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। ভাঙা মন্দির পুনর্নির্মাণে সহায়তা দিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষে প্রদীপ কান্তি দে, সুশান্ত অধিকারী, তন্ময় মৌলিক, তিয়াশ সরকার, সুদীপ্ত প্রামাণিক, সাজেন কৃষ্ণ বল, পিজুস দাস, পলাশ সেন, পিংকু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি
  • পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
  • যশোরে অধিগ্রহণ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দিলেন জমিমালিকেরা
  • জমির মালিককে না জানিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধ
  • চবি বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি
  • বন্দরে সরকারি খাল ও বাজার অবমুক্তির জন্য  মানববন্ধন
  • মন্দির ভেঙে দেওয়ার ঘটনা মনকেও ভেঙে দিয়েছে: ঐক্য পরিষদের সভাপতি
  • নোয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্র ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে মানববন্ধন
  • আকিজ সিমেন্ট ও ফিড ফ্যাক্টরীর বায়ু দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন