শি-পুতিন দৃঢ় ঐক্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পশ্চিমা বিশ্ব
Published: 14th, May 2025 GMT
বিশ্বের দিকে দিকে যখন চলছে যুদ্ধের উন্মাদনা, তখন চীন-রাশিয়ার মধ্যে দেখা যাচ্ছে ‘ইস্পাত কঠিন’ ঐক্য। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উত্তেজনাসহ পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে মস্কো-বেইজিং বন্ধুত্ব আরও সুসংহত হয়েছে। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরে বিষয়টি যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশ দুটির এমন দৃঢ় ঐক্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে পশ্চিমা বিশ্বকে।
গত ৭-১০ মে রাশিয়া সফর করেন শি জিনপিং। নাৎসি জার্মানির পরাজয় স্মরণে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপনে বন্ধু ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ছুটে যান তিনি। চায়ের আড্ডায় কাটিয়েছেন প্রায় ১০ ঘণ্টা। বিশ্লেষকরা বলছেন, শি জিনপিংয়ের এবারের মস্কো সফর চীন-রাশিয়া সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা করেছে।
মস্কোতে শি প্রায় ২০টি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট। অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে দুই দেশ।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মনে করেন, চীনের প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতির সঙ্গে মিশ্রিত হয়েছে বর্তমান বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা চীন-রাশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তি রচিত করেছে।
গত তিন বছর ধরে চীন-রাশিয়ার প্রতিরক্ষাগত সামঞ্জস্যতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ শুরুর সময় থেকেই তাদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত দ্বৈততা ছিল। এছাড়া চীন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে প্রকাশ্যে সমর্থনও করেনি। তবে সংঘাতের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয় এমন বগু খাতে মস্কো-বেইজিং কৌশলগত ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বেড়েছে।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ডিস্টিংগুইশড ফেলো থমাস গ্রাহাম মনে করেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস বেশি করে কিনছে চীন। যাতে পুতিন সেই টাকায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেন। ২০২৩ সাল থেকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা হয়ে উঠেছে বেইজিং। পাশাপাশি মাইক্রোচিপের মতো যেসব যন্ত্রাংশ অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয় তা রাশিয়াকে দিয়েছে চীন।
শক্তিশালী হচ্ছে অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব
চীন-রাশিয়ার শক্তিশালী অংশীদারিত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক সম্পর্ক। চীনের কাস্টমস অফিসের তথ্য বলছে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে রেকর্ড ২৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। মস্কো-বেইজিং উভয়ই নিজেদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পশ্চিমা প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যের অধিকাংশই বর্তমানে ডলার বা ইউরোর পরিবর্তে রুবল ও ইউয়ানে পরিচালিত হচ্ছে। এই পদক্ষেপ দেশ দুটির অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করছে।
রাশিয়ার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ এবং চীনের উৎপাদন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা দুই দেশের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ শিল্প ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ প্রযুক্তিগত দক্ষতার ক্ষেত্রগুলোতে চীন-রাশিয়ার অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতের ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীন-রাশিয়া ঐক্যের ভূ-রাজনৈতিক সফলতাও স্পষ্ট। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সুসম্পর্ক সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, দুই দেশের ঐক্যে ফাটল ধরানোর প্রচেষ্টা, যে কারোর জন্যই দুরাশার কারণ হবে। বহিরাগত কোনো জোটও এই ঐক্যের ভিত নড়াতে সক্ষম নয়।
রাশিয়ার জন্য ভুগতে হচ্ছে চীনকেও
মস্কোর সেনারা ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে চীনকেও ভুগতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে বেইজিংও। রাশিয়াকে সমর্থন করায় চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চীনের চাংশা তিয়ানয়ি স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন। অভিযোগ ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের কার্যক্রম সহজ করতে রাডার স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহ করত প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তার অভিযোগে চীনের দুটি ড্রোন কোম্পানি ‘জিয়ামেন লিম্বাচ এয়ারক্র্যাফ্ট ইঞ্জিন কোং’ এবং ‘রেডলেপাস ভেক্টর ইন্ডাস্ট্রি শেনজেন কোং’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৩ সাল থেকে শি ও পুতিন ৪০ বারেরও বেশি সাক্ষাৎ করেছেন, যা দু’দেশের গভীর পারস্পরিক আস্থা এবং আন্তরিক বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করেছে। দেশ দুটি এখন বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশের মডেল হয়ে উঠেছে।
সূত্র: দ্য ডিপ্লোম্যাট, পিপলস ডেইলি অনলাইন
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
চীন কেন চায় না ইউক্রেন যুদ্ধ থামুক
অনেকেই ভেবেছিল রাশিয়ার ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয় দিবস’–এর কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যোগ দেওয়ায় হয়তো তিনি এবার পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলবেন। এতে অনেকের মনে আশা জেগেছিল, সম্ভবত চীন এবার শান্তির পক্ষে কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে তিন বছর পার করেছে, তখনো চীনের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট উদ্যোগ দেখা যায়নি যে তারা সত্যি যুদ্ধ থামাতে চায় বা শান্তি আলোচনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে চায়।
এর বদলে চীন বরং রাশিয়াকে রাজনৈতিক (কূটনৈতিক), অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চীন কখনোই এই যুদ্ধকে ‘আগ্রাসন’ বলে স্বীকার করেনি, অর্থাৎ তারা কখনো বলেনি যে রাশিয়া অন্য দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে।
এমনকি রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করে নেওয়ার পরও চীন তা সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘে যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব উঠেছে, তখন চীন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। মানে তারা রাশিয়ার বিপক্ষে কোনো অবস্থান নেয়নি।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এখন পর্যন্ত একবারও বলেননি বা কোনো ইঙ্গিত দেননি যে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে ভাবতে চান বা যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত। বরং তাঁর ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও গভীর হয়েছে। গত তিন বছরে তাঁরা নয়বার মুখোমুখি দেখা করেছেন।
২০২৫ সালে যখন ট্রাম্প আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন সি ও পুতিন একসঙ্গে জানিয়ে দেন, তাঁরা একে অন্যকে আরও জোরালোভাবে সমর্থন করবেন, একসঙ্গে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করবেন এবং কৌশলগতভাবে আরও ঘনিষ্ঠ হবেন।
অর্থনৈতিকভাবে চীন রাশিয়াকে টিকিয়ে রেখেছে। যখন পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তখন চীন রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা আরও বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে যেখানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ছিল ১৪৭ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৫ বিলিয়ন ডলারে।
যখন পশ্চিমা কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে চলে যাচ্ছে, তখন চীনা কোম্পানির গাড়ি, মুঠোফোন ইত্যাদি রাশিয়ার বাজার দখল করছে। ২০২৩ সালের শুরুতেই দেখা যায়, রাশিয়ার বাজারে ৭০ শতাংশ মুঠোফোন ছিল চীনের তৈরি।
চীন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাসও বেশি করে কিনছে, (যদিও অনেক ছাড়ে) যাতে পুতিন সেই টাকায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেন। ২০২৩ সাল থেকে চীন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা হয়ে উঠেছে। অনেক ব্যাংক নিষেধাজ্ঞার ভয়ে রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দিলেও চীনের ছোট আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো এখনো রাশিয়ার জন্য লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও চীন সরাসরি যুদ্ধের জন্য কোনো মারাত্মক অস্ত্র দেয়নি, তারা মাইক্রোচিপের মতো এমন সব যন্ত্রাংশ বা যন্ত্রপাতি দিয়েছে, যেগুলো অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে।
এ অবস্থায় চীন আবার নিজেকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে দেখাতে চায়। ২০২৩ সালে তারা একটি শান্তির পরিকল্পনা দেয়, আর ২০২৪ সালে ব্রাজিলের সঙ্গে মিলে ছয়টি প্রস্তাব দেয় যুদ্ধ থামানোর জন্য। এরপর চীনের এক বিশেষ দূত ইউক্রেন ও রাশিয়া সফর করেছেন। কিন্তু এসব পরিকল্পনা শুধু কাগজে–কলমে।
মুখে অনেক সুন্দর কথা থাকলেও বাস্তবে চীনের কোনো পদক্ষেপ নেই। চীনের মূল উদ্দেশ্য আসলে যুদ্ধ থামানো নয়; তারা শুধু চায় গ্লোবাল সাউথ (বৈশ্বিক দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশগুলো) এবং ইউরোপে তাদের ভাবমূর্তি ভালো দেখাক। অর্থাৎ তারা যেন শান্তিপ্রিয় ও দায়িত্বশীল শক্তি বলে পরিচিত হয়।
চীন চায় না ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। এটি একেবারে অস্বাভাবিক নয়। কারণ, যুদ্ধ যতক্ষণ ইউক্রেনের সীমার মধ্যে থাকে, পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি না থাকে, আর রাশিয়া যতক্ষণ পুরোপুরি হার না মানে, ততক্ষণ চীনের জন্য এটি কৌশলগতভাবে লাভজনক।
যুদ্ধ চলায় যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ নিয়ে বেশি ব্যস্ত। ফলে এশিয়ায়, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। একই সঙ্গে রাশিয়া এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চীনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে চীন রাশিয়ার সম্পদ আরও সহজে এবং এমন রুট দিয়ে পাচ্ছে, যেগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেই।
চীনের কিছু বড় ড্রোন নির্মাতা কোম্পানি (যেমন ডিজেআই, ইহ্যাং, অটেল) এই যুদ্ধ থেকে সরাসরি আর্থিক লাভ করছে। তারা ড্রোন ইউক্রেন ও রাশিয়া—উভয়ের কাছে বিক্রি করেছে। ২০২৩ সালে চীনের কাছ থেকে ইউক্রেন দুই লাখ ডলারের ড্রোন কিনেছে, আর রাশিয়া কিনেছে প্রায় দেড় কোটি ডলারের ড্রোন। এই ড্রোনগুলো সরাসরি না পাঠিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও ছোট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও চীন ফাঁক গলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন যদি ধরেও নিই যে চীন সত্যিই যুদ্ধ থামাতে চায়, তবু ইউক্রেন কখনোই চীনকে নিরপেক্ষ মনে করবে না। কারণ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অনেকবার অনুরোধ করলেও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি।
২০২২ সালে ইউক্রেন নিজে একটি ১০ দফা শান্তি–পরিকল্পনা দিয়েছিল। কিন্তু চীন এতে আগ্রহ দেখায়নি। ২০২৪ সালে শান্তি নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছিল, যেখানে ৯২টি দেশ অংশ নেয়, কিন্তু চীন সেখানে যায়নি; বরং তারা ব্রাজিলকে সঙ্গে মিলে আলাদা একটি প্রস্তাব দেয়। ইউক্রেন মনে করছে, তাদের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার চেষ্টা হিসেবেই চীন এই প্রস্তাব দিয়েছে।
থমাস গ্রাহাম কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ডিস্টিংগুইশড ফেলো
ঝোংইউয়ান জো লিউ কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের চীনবিষয়ক সিনিয়র ফেলো
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ