জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (বিপিআই) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৫টি শূন্য পদে পাঁচজনকে নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ১৯ মে থেকে আবেদন শুরু হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: উপপরিচালক
পদসংখ্যা: ০১টি
বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা
গ্রেড: ৬
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।

২.

পদের নাম: বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
গ্রেড: ৯
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ভূতত্ত্ব, ভূ-পদার্থবিদ্যা, পেট্রোলিয়াম, মেকানিক্যাল, কেমিক্যাল, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি বা ভূতত্ত্ব বা ভূ–পদার্থবিদ্যায় অন্যূন প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি।
৩. পদের নাম: টেকনিশিয়ান (ল্যাব)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
গ্রেড: ১৪
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে
৪. পদের নাম: সহকারী (প্রশিক্ষণ)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
গ্রেড: ১৬
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
৫. পদের নাম: ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা
গ্রেড: ১৯
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

আরও পড়ুনপল্লী বিদ্যুতে বড় নিয়োগ, ২ পদে নেবে ২১৫০ জন১৬ মে ২০২৫

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৯ জুন ২০২৫

আরও পড়ুনবেসরকারি সংস্থায় চাকরি, বেতন মাসে ২০৩,৭১২-২৫৪,৬৪০ টাকা৪ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসীমান্ত ব্যাংকে নিয়োগ, নেবে অফিসার ও অফিসার-সিনিয়র অফিসার২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদ র ন ম সমম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বস্তির ৮০% গর্ভবতীর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি

বস্তিবাসী গর্ভবতী নারীদের ৮০ শতাংশ ক্যালসিয়াম ও ৫৮ শতাংশ লৌহের স্বল্পতায় ভুগছেন। এখানে বসবাসকারী শিশুদের ওজন ও উচ্চতা প্রয়োজনের তুলায় কম। গবেষকেরা দেখেছেন, একীভূত সেবায় বস্তির মানুষের পুষ্টির উন্নতি সম্ভব।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা রাজধানীর বাউনিয়াবাদ বস্তিতে বসবাসকারী মানুষের পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। আজ সোমবার সকালে আইসিডিডিআরবির সাসাকাওয়া মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে গবেষেকেরা বলেন, শহরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। বস্তিতে বাস করা অর্ধেক পরিবার খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটায়। বস্তির শিশুগুলোর প্রায় ৫০ শতাংশ খর্বাকৃতির।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ও আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ বলেন, দেশে অপরিকল্পিত নগরায়ণ হচ্ছে। শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ বস্তিতে বাস করে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়—দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের মাঝখানে থাকা বস্তিবাসী নানা সেবা থেকে বঞ্চিত। বস্তির মানুষের জীবনমান খারাপ। তিনি আরও বলেন, সেবার বাণিজ্যিকীকরণ, ব্যথা ব্যবস্থাপনা, মানুষর ইচ্ছা—এসব কারণে দেশে অস্ত্রোপচারে শিশু জন্মহার অনেক বেশি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাউনিয়াবাদ বস্তির ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জমির মালিক কোনো না কোনো ব্যক্তি। বাকি জমির মালিক সরকার। ২০২১ সালের নভেম্বরে এখানে গবেষণা শুরু করেন আইসিডিডিআরবির গবেষেকেরা। এখানে ১৬ হাজার ৫৩২টি পরিবারে মানুষ ৬০ হাজার ৭৮৬ জন। গবেষণায় ৭২১ জন গর্ভবতী নারী, ৪ হাজার ২৩৪ কিশোরী এবং দুই বছরের কম বয়সী ২ হাজার ৪৯৭ শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিউট্রি-ক্যাপ নামে এ গবেষণাকাজ শেষ হয়েছে এ বছরের মে মাসে। কানাডা সরকারের আর্থিক সহায়তায় অ্যাডভান্সিং সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস (অ্যাডসার্চ) প্রকল্পের আওতায় আইসিডিডিআরবির পুষ্টি গবেষণা বিভাগ বেশ কিছু গবেষণা করছে। নিউট্রি-ক্যাপ এর একটি।

গবেষণায় কী দেখা গেল

অনুষ্ঠানে বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রায় পাঁচ হাজার বস্তি আছে। বস্তিতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বাস। বস্তিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ হাজার মানুষ বাস করে। ৮০ শতাংশ পরিবার এক কক্ষের ঘরে থাকে। ৯০ শতাংশ পরিবার টয়লেট ও সরবরাহকৃত পানি ভাগাভাগি করে।

নিউট্রি-ক্যাপের প্রধান গবেষক মোস্তফা মাহফুজ বলেন, বস্তির গর্ভবতী নারীরা প্রয়োজনের চেয়ে ৩১৪ শতাংশ বেশি শর্করা খান। গর্ভবতীদের ৮০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ৭৮ শতাংশ ভিটামিন এ, ৫৮ শতাংশ লৌহ এবং ৪৪ শতাংশ জিংকের স্বল্পতায় ভুগছেন। অন্যদিকে শিশুদের ৫৯ শতাংশ রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। শিশুদের ২৭ শতাংশের উচ্চতা ও ২০ শতাংশের ওজন কম। এই বস্তির ৯১ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনোভাবে ঋণগ্রস্ত।

আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা এই বস্তির গর্ভবতী নারী, কিশোরী ও দুই বছরের কম বয়সী শিশু—এই তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে একীভূত সেবা প্যাকেজ চালু করে। এই প্যাকেজের আওতায় পুষ্টিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ দেওয়া হতো। এ ছাড়া ওজন, রক্তচাপ, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও শর্করা নিয়মিত মাপা হতো। এর পাশাপাশি বস্তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ ও প্রচারণা চালানো হয়।

অনুষ্ঠানে মোস্তফা মাহফুজ বলেন, গবেষণার আওতাধীন গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন ওজন বেড়েছে, হাসপাতালে প্রসবের হার বেড়েছে। পাশাপাশি গর্ভপাত ও নবজাতকের মৃত্যু কমতে দেখা গেছে। কিশোরীদের হিমোগ্লোবিদের পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে। অন্যদিকে শিশুদের উচ্চতা ও ওজন বেড়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে আইসিডিডিআরবির পুষ্টি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক থাডিয়াস ডেভিড মে বলেন, পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতিতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। এ গবেষণা প্রকল্পে মানুষকে তথ্য ও পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এডোয়ার্ড ক্যাবরেরা বলেন, এমন একটি গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পেরে তিনি আনন্দিত। আইসিডিডিআরবি কোনো গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করলে তা থেকে বিশ্ববাসীর কিছু গ্রহণ করার থাকে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ও আইসিডিডিআরবির প্রফেসর ইমিরেটাস শামস এল আরিফিন বলেন, অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে গবেষণাটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, এর সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ