আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন নীতিমালা
Published: 18th, May 2025 GMT
দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) ব্যবসাকেন্দ্র স্থাপন, সম্প্রসারণ, স্থানান্তর, ভাড়া ও ইজারা-সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, আর্থিক কোম্পানির ব্যবসাকেন্দ্র স্থাপন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমতি দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সে কাজগুলো করতে পারবে।
রবিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আবেদনকারী কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা, মূলধন পর্যাপ্ততা, শ্রেণিকৃত ঋণের হার, পরিদর্শন বিভাগের সর্বশেষ অডিট আপত্তি, ক্যামেল রেটিং, আমানতকারীদের সেবা প্রদানসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন করবে। অনুমোদনের তিন মাসের মধ্যে নির্ধারিত শাখা স্থাপন না করলে অনুমতিপত্র বাতিল করা হবে।
শুধু সম্প্রসারণই নয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ও উপশাখা একীভূতকরণ, রূপান্তর ও বন্ধ করতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।
শাখা স্থাপনের আবেদনের সঙ্গে কোম্পানির তিন বছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী, এ সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব, শাখা স্থাপনে স্পেস ভাড়া উল্লেখ করতে হবে।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নতুন শাখা স্থাপনের অনুপাত হবে ১:২। শাখার আয়তন হবে সর্বোচ্চ ৫ হাজার বর্গফুট। প্রতি বর্গফুট ডেকোরেশনে ব্যয় ২ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে।
নতুন এ উদ্যোগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে স্বার্থান্বেষী মহলের অনুপ্রবেশ রোধ হবে এবং আর্থিক খাতে পেশাদার ও যোগ্য জনবল নিয়োগের পথ সুগম হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নত ন ন ত ম ল
এছাড়াও পড়ুন:
৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী