অন্যায়কারীদের সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না, প্রশ্ন তারেক রহমানের
Published: 12th, July 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকার অন্যায়কারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যারা বিভিন্নভাবে ‘মব’ (দলবদ্ধ সহিংসতা) সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
পুরান ঢাকায় গত বুধবার জনসমক্ষে নৃশংস যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই প্রশ্ন আজকে আমাদের সবার এই সরকারের কাছে, কেন অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? তারা (সরকার) কেন আশ্রয় দিচ্ছে?.
এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমরা কি তাহলে ধরে নেব যে যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কোনো প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কারও কারও কোনো প্রশ্রয় আছে?’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের যেসব নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। অনুষ্ঠানের আয়োজক বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বরাবর বলেছি, অন্যায়কারী যেই হোক, আমরা প্রশ্রয় দেব না। কাজেই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা হেফাজত করা, নিরাপত্তা দেওয়া।’
বিএনপি অপরাধীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, যে অন্যায় করবে, তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। অন্যায়কারী কখনো কোনো দলের লোক হতে পারে না।
বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে জনগণের এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ‘অদৃশ্য শত্রু’ আছে। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে সেই অদৃশ্য শত্রু। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন কিছু হচ্ছে এবং আমরা খুব ভালো করে খেয়াল করছি কারা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘জোর গলায় প্রশ্ন তুলুন, আপনাদের যে স্বজনেরা আত্মত্যাগ করেছে, তাদের বিচার কেন আজ পর্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে? কারা মব সৃষ্টি করে বিলম্বিত করতে চাইছে? কারা এসব হত্যাকাণ্ড করছে?’
খুলনায় যুবদলের এক কর্মীকে হত্যা করার কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, তাঁর (যুবদল কর্মী) রগ কেটে দেওয়া হয়েছে কেন? সেটি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে না কেন? সেই বিচারের দাবি করতে গেলে বলা হচ্ছে বিএনপি লাশ নিয়ে মিছিল করছে। এই প্রশ্নের জবাব সবাইকে খুঁজতে হবে; কারণ, এই প্রশ্নের জবাবগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ অস্তিত্বের সম্পর্ক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। সঞ্চালক ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ত র ক রহম ন ব এনপ র ভ র অন ষ ঠ ন ছ ত রদল সরক র র অন য য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ওডিশায় বাংলাদেশি সন্দেহে আটক ৪০৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
ভারতের ওডিশা রাজ্যের ঝাড়সুগুদা জেলায় অবৈধ বাংলাদেশী সন্দেহে আটক ৪৪৪ জনের মধ্যে ৪০৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তারা সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গত সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যান বোর্ডের চেয়ারম্যান সমিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের যেসব পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করা হয়েছিল, তাদের অধিকাংশকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তি পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগই বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাদের আটক করেছিল ওডিশার ঝাড়সুগুদা পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার নাম করে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বেআইনিভাবে আটক করে বিজেপিশাসিত ওডিশা সরকার।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে অনেক শ্রমিক ওডিশায় কাজ করতে যান। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সেসব শ্রমিকদেরই বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে আটক করা হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ওডিশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের মুক্তির অনুরোধ করেছিলেন। প্রথমে ওডিশা পুলিশ আটক ব্যক্তিদের বৈধ নথি না থাকার অভিযোগ করলেও পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে।