বাজারে নতুন নামে ভিন্ন রঙে এসএমসির ওরস্যালাইন
Published: 18th, May 2025 GMT
সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) বহুল ব্যবহৃত ওরস্যালাইন নতুন নামে বাজারে এসেছে। প্যাকেটে আগের সেই রং নেই। তবে দাম আগের মতো ৬ টাকাই। গুণমানে একই আছে।
এসএমসির ওরস্যালাইনের নাম ছিল ‘ওরস্যালাইন-এন’। নতুন নাম হয়েছে ‘এসএমসি ওরস্যালাইন’। আগে ওরস্যালাইনের প্যাকেটের রং ছিল হলুদাভ, সোনালি। এখন হলুদ রঙের মধ্যে গাঢ় নীলের ছোঁয়া। এসএমসির কর্মকর্তাদের ধারণা, নতুন মোড়ক আগের চেয়ে আকর্ষণীয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এসএমসির প্রধান কার্যালয়ে খাওয়ার স্যালাইনের নতুন নাম ও নতুন মোড়ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪০ বছরে এসএমসির ওরস্যালাইন লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান বলেন, তারা বছরে দেড় শ কোটি প্যাকেট ওরস্যালাইন বিক্রি করেন। ফার্মেসি, মুদির দোকান ও অন্যান্য ব্যবস্থা মিলে সারা দেশে প্রায় পাঁচ লাখ জায়গা থেকে ওরস্যালাইন বিক্রি হয়। দেশের প্রতিটি ঘরে আস্থার প্রতীক এসএমসির খাওয়ার স্যালাইন।
সংবাদ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত আকারে খাওয়ার স্যালাইনের উদ্ভাবন ও বিস্তার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসএমএসির চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের মধ্যে প্রথম ব্যাপকভাবে খাওয়ার স্যালাইন ব্যবহার করা হয়।
খাওয়ার স্যালাইনের নতুন নাম ও নতুন মোড়ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসএমসির কর্মকর্তারা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এসএমসির প্রধান কার্যালয়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স য ল ইন র নত ন ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়