বন্দরের এনসিটি বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মশালমিছিল
Published: 19th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার সন্ধ্যায় বন্দর এলাকায় মশালমিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। মশালমিছিল থেকে নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়।
সন্ধ্যায় বন্দর এলাকায় শ্রমিক দল ও শহীদ ওয়াসিম স্মৃতি সংসদের সামনে থেকে এই মশালমিছিল বের হয়। মিছিলটি ১২ নম্বর থেকে কাস্টমস হয়ে বন্দর নতুন মার্কেটে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। অসুস্থ অবস্থায় মিছিলে হুইলচেয়ারে বসে অংশ নেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে। এরপরও এই টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে বন্দরে আয় কমবে। বিদেশিরা বিপুল পরিমাণ ডলার বিদেশে নিয়ে যাবে। তাই এই টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান তাঁরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে জিটুজি ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার ভার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এটিকে এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, টার্মিনালে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি আছে এবং ভালোভাবে চলছে। এর ফলে এই টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিপক্ষে তাঁরা। অন্যদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বন্দরের সেবার মান ও দক্ষতা বাড়বে এবং বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দল নেতা মোজাহের হোসেন। এতে আরও বক্তব্য দেন আবুল কালাম, আনোয়ারুল আজিম, এজহার মিয়া, আবদুল হাই প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই ট র ম ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষায় দুই কেন্দ্রে তিনজন বহিষ্কার
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুটি কেন্দ্র থেকে তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির লিখিত পরীক্ষায় তাঁদের বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে একজন রাঙামাটির নানিয়ারচর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে আর দুজন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা কলেজ কেন্দ্রে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির লিখিত পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করছিলেন। দীঘিনালা কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায়ও পাঁচজন বহিষ্কার হয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির লিখিত পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৯২ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে উপস্থিতির সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৭০। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৪৯৬ জন। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মোট ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় ১০ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। সব মিলিয়ে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০। চট্টগ্রাম বোর্ডে এ বছর সব মিলিয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৯৭৫ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী আছেন ৭১ হাজার ৯৪৭ জন। চট্টগ্রাম নগরে পরীক্ষার্থী ৪৮ হাজার ৪৮০ জন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য রথযাত্রা