সরকারের তিন ক্রয় প্রস্তাবে ব্যয় ৮৮৯ কোটি টাকা
Published: 20th, May 2025 GMT
রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো ও কাফকো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির ২টি এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের ১টি ভেরিয়েশন প্রস্তাবসহ ৩টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ২৫৫ টাকা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর থেকে ১২তম (ঐচ্ছিক-৩য়) লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মরক্কো হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কো থেকে ১২তম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ২ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ৬৬৫ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৪.২৭ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩.৩৯ লাখ মেট্রিক টন।
আরো পড়ুন:
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪ প্রস্তাব অনুমোদন
জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ করতে চায় আলজেরিয়া
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ হতে ৫.৪০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৪১৭.২৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ লাখ মেট্রিক টন। তার মধ্যে কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করা হবে ৫.৪০ লাখ মেট্রিক টন।
সভায়, ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মায়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলেগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউডি-১ এর লট-১ এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের পূর্ত কাজ সিটি জয়েন ভেঞ্চার-এর সঙ্গে ৩ হাজার ২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকে নির্মাণ কাজের কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৪২১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
ভেরিয়েশনের কারণ হিসেবে জানা গেছে, ৬০টি বক্স কালভার্টের স্থানে ১৩৬টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ, ৫টি স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, কালভার্টের স্পেনের দৈর্ঘ্য ৪৭৬ মিটারের পরিবর্তে ৮২৫ মিটার, ব্রিজের পাইলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ আরো বেশকিছু কাজ অতিরিক্ত করতে হয়েছে বিধায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জ র ম ট র ক টন ল খ ম ট র ক টন স র আমদ ন মন ত র মরক ক ইউর য়
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হওয়া পণ্যের শুল্কায়ন করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা এই শুল্ক স্টেশনটি এককভাবে দেশের সবচেয়ে বড় শুল্ক পয়েন্ট। প্রতি কর্মদিবসে গড়ে ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে এটি। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ নামের সেই শুল্ক পয়েন্টটি এবারে ভেঙেছে অতীতের সব রেকর্ড। সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তারা রাজস্ব আদায় করেছে ৭৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এ অঙ্ক ছিল ৬৮ হাজার ৭৫৫ দশমিক ৭ কোটি টাকা। এই হিসেবে এক অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৬ হাজার ৬৭৬ দশমিক ৩ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে যা ৯ দশমিক ৭১।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বছরজুড়ে বন্দরে মোট ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৭ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সমতুল্য ইউনিট) কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৭ টিইইউস বেশি। আগের বছর হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউ। এখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার অপারেশন শুরুর পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের মুখপাত্র ও ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, ঈদ উপলক্ষে টানা ছুটি, পরিবহন ধর্মঘট ও এনবিআর কর্মকর্তাদের একাধিক ধাপের কর্মবিরতি ও কলমবিরতি কর্মসূচির পরও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এটির জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি জানান, রাজস্ব আদায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। সেই তুলনায় ৪ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা পিছিয়ে আছি আমরা। তবে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক চিত্র ইতিবাচক। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই কাস্টম হাউস রাজস্ব আদায় করেছিল ৬২ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা।