সোনারগাঁয়ে কৃষকদের ফলজ চারা ও সার বীজ বিতরণ
Published: 2nd, July 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের গাছের চারা ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিপ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রোপা আমন, তাল, সবজী, আম ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক/কৃষক সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের বিনামূল্যে গাছের চারা ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করেন সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানা , উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার শাহীন,উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও উপকারভোগী কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান,২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিপ-২/ ২০২৫-২৬ মৌসুমে প্রনোদনা এবং পূর্ণবাসন কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উপশী আমন ধান, গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির বীজ, সার এবং নারিকেল, আম, জাম, তাল, বেল, নারকেল, নিম, কাঠাল ও লেবু চারা বিতরণ করা হয়েছে।নীম,বেল,জাম,কাঁঠাল ১০০০০ হাজার চারা গাছ বিতরন চলমান রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ কর মকর ত স ন রগ উপজ ল ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে
সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের দায় পরিশোধ হয়েছে ৫১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকায় নেমেছে। এর মানে এ পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা দেন ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখা হবে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে উল্টো ঋণ কমেছে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। প্রতি বছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও গত তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ উল্টো কমছে।
ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের বাইরেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে সরকার আরও ৪৬ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছর সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এ সময়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।