রামপুরার খাল থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
Published: 22nd, May 2025 GMT
রাজধানীর রামপুরার একটি খাল থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওমর ফারুক।
এসআই ওমর ফারুক বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। লোকটির আনুমানিক বয়স ৪০ বছর। মরদেহে পচন ধরে গেছে। তাই আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা বোঝা যায়নি। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আইনিপ্রক্রিয়া শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৬৪ নেতা-কর্মীকে দুই মামলা থেকে অব্যাহতি
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় করা দুটি পৃথক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদসহ ৬৪ জন নেতা-কর্মী। আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম সামছুন্নার এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাবর জহির উদ্দিন ব্যাপারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত করতে না পারায় সব আসামিকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক।
অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্যাহ সেলিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০–দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ রাতে চাঁদপুর-হাইমচর আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের বকুলতলা রোড–সংলগ্ন রেললাইন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ও উসকানিমূলক স্লোগানের অভিযোগ এনে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।