৪৩৭ রানের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নায়ক মার্শ
Published: 22nd, May 2025 GMT
আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে গুজরাট টাইটানসের। লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসেরও। গন্তব্য ঠিক হয়ে যাওয়া দুই দলের লড়াইয়ে ঝাঁঝ না থাকারই কথা। তবে অনেকটা গুরুত্বহীন হয়ে ওঠা এই ম্যাচেই লক্ষ্ণৌ, গুজরাট ছোটাল রানের ফোয়ারা। দুই দলই তুলল দুই শর বেশি রান।
দিন শেষে হেসেছে অবশ্য লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসই। ২৩৫ রানের পুঁজি থাকা দলটি গুজরাটকে আটকে দিয়েছে ২০২ রানে। ৩৩ রানের হারে সেরা দুইয়ে থাকা অনিশ্চিত হয়ে গেল শুবমান গিলদের।
২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা গুজরাট ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার গিল ও সাই সুদর্শন। ৪ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৪২ রান। কিন্তু পঞ্চম ওভারে ও’রুর্কের বলে সুদর্শন আউট হলে খেই হারাতে শুরু করে গুজরাট। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলকে ৮৫ রানে রেখে ফেরেন অধিনায়ক গিল। তিনে নামা জস বাটলারের ইনিংসও বড় হয়নি। ১৮ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন আকাশ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে।
গুজরাটের হয়ে এরপর জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখেন শাহরুখ খান। পাঁচে নামা এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হলে সেই সম্ভাবনাও মিইয়ে যায়।
এর আগে লক্ষ্ণৌকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ১২১ রানের জুটি। মার্শ ১০ চার ৮ ছক্কায় ৬৪ বলে ১১৭ রান করে ফিরলেও পুরান অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৫৬ রান করে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’