মার্টিনেজকে পছন্দ ম্যানইউ’র, যে কারণে চুক্তিতে বিলম্ব
Published: 30th, June 2025 GMT
মৌসুম শেষেই অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে এখনো নতুন ঠিকানা খুঁজে পাননি তিনি। তার দলবদল নিয়ে বেশ কিছু গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
যেমন- বার্সেলোনা তাকে দলে নিতে চায় বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু কাতালানরা ২৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৪ বছর বয়সী হুয়ান গার্সিয়াকে দলে নিয়েছে।
চেলসি খোঁজ খবর নিচ্ছিল মার্টিনেজের বিষয়ে। সেটাও এগোয়নি। গালাতাসারায়ে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। মার্টিনেজ তাতে সাড়া দেননি। রাজি হননি সৌদি প্রো লিগের আকর্ষণীয় প্রস্তাবে। জ্লান ওব্লাক অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। তার জায়গায় এমিকে ভেবে রেখেছিলেন ডিয়াগো সিমিওনে। ওই গুঞ্জনেও জোর হাওয়া লাগেনি।
সর্বশেষ গুঞ্জন অনুযায়ী, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যেতে চান এমি মার্টিনেজ। রেড ডেভিলসরাও তাকে দলে নিতে আগ্রহী। দুই পক্ষ রাজি হওয়ার পরও চুক্তি না হওয়ার কারণ জানিয়েছেন ম্যানইউ-এর সাবেক প্রধান স্কট মিক ব্রাউন।
ফুটবল ইনসাইডারকে তিনি বলেন, ‘মার্টিনেজকে পছন্দ ম্যানইউ’র। দলে নিতে চায়। এটা তারা পরিষ্কার করে দিয়েছে। তার আগে আন্দ্রে ওনান থেকে মুক্তি চায় ম্যানইউ। এরপর এমির বিষয়ে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে।
ওনানার চেয়ে মার্টিনেজ অনেক এগিয়ে। যদি ওনানাকে দিয়ে মার্টিনেজকে নেওয়ার সুযোগ থাকে (সুইপ ডিল), ম্যানইউ ঝাপিয়ে পড়বে। মার্টিনেজের বয়স একটু বেশি, ৩০ বছরে সে। ম্যানইউ এটা নিয়ে চিন্তিত না। কারণ সে দারুণ সামর্থ্যবান। কিন্তু ম্যানইউ আগে ওনানার একটা ব্যবস্থা করতে চায়।
মার্টিনেজকে কিনে ওনানাকে বিক্রি করতে না পারলে দু’জনকেই দলে রাখতে হবে। ম্যানইউ এমন পরিস্থিতি এড়াতে চায়। রেড ডেলিভসরা আগে চাচ্ছে, ওনানার জন্য প্রস্তাব আসুক। তাকে অন্য ক্লাবে পাঠাতে পারলেই মার্টিনেজের বিষয়ে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে আলোচনায় জোর দেবে। আপাতত ম্যানইউ না পারছে কিনতে না পারছে ছাড়তে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এম ল য় ন ম র ট ন জ ফ টবল দলবদল ম য নইউ গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
ফুসফুসের সুরক্ষায়
ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এই সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল
জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকার সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনের শিশুর জন্মগ্রহণ শিশুর ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা ও নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথা আরও বেশি সত্য।
ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এই সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল। একইভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা– এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগেরও আকর এ ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি, যেমন– নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত রোগের সৃষ্টি এই বায়ুদূষণের জন্য। অতএব, পৃথিবীর সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিতকরণের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের
একটি অংশ।
জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে, যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন– পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েল্ডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এই পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্ম তন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করলে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব; যে ব্যাপারে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই ‘অকুপেশনাল হেলথ’ বা জীবিকাসংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।
ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারেন। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্য রক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সে শিক্ষাটাই দিয়েছে। v
[ রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ ও কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা]