এক শিশুর জুতা হারানোর ঘটনা নিয়ে দুই পরিবারের দুই শিশুর ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া থেকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পরিবারের সদস্যরা। এতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের হাজীনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহিদ আলী (৭৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, পাশের বাড়ির কনা মিয়ার পরিবারের এক শিশু তার জুতা খুঁজে না পেয়ে ওয়াহিদ আলীর পরিবারের এক শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। শিশুদের মধ্যে শুরু হওয়া কথা–কাটাকাটি থেকে বিষয়টি দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনায় রূপ নেয়। রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের (সুলফি) আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান ওয়াহিদ আলী। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর কনা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।

গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, তুচ্ছ একটি বিষয় থেকে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল। একজন মারা গেছেন, কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এক শিশুর জুতা হারানো নিয়ে শুরু হওয়া কথা–কাটাকাটির জেরে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত ওয়াহিদ আলী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পরের আত্মীয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র এক শ শ

এছাড়াও পড়ুন:

২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ সামগ্রী: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে ক্ষতিকর ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক)’ পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়া হবে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথাগুলো বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

শেখ আবদুর রশীদ বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। একে মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু নিজেদের স্বার্থেই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই পদক্ষেপ নিতে হবে।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, সচিবালয়ে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ নিষিদ্ধ করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার এ দেশীয় প্রতিনিধি জাকি উজ জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।

প্রসঙ্গত, পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে ১৭ ধরনের সামগ্রীকে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, পাতলা প্লাস্টিক মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ