সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে হারের পর ঢাকায় দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে ড্র করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে সেট হয়ে ব্যাটাররা রান বড় করতে না পারার আক্ষেপ থেকে গেছে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির আশা দিয়ে পারেননি নাঈম শেখ। এনামুল হক বিজয় ও নুরুল হাসান ফিফটি মিস করেছেন। আবার সাইফ হাসান ফিফটি করেই আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও এনামুল ও সাইফ উইকেট বিলিয়ে দেন।
মিরপুর স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখ ও এনামুল হক ১৩০ রান যোগ করেন। এনামুল ফিরে যান ৯৭ বলে ৪৮ রান করে। পরেই নাঈম ৯৪ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ১০টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মারেন।
চারে ব্যাট করে জাকির হাসান ১৯ রান যোগ করেন। তিনে ব্যাট করা সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে ৫১ রান আসে। অমিত হাসানও ফিফটি করলেও ইনিংস খুব বড় হয়নি। তিনি ১১০ বলে ৬৭ রান করে আউট হন। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৪ রান ও অধিনায়ক নুরুল হাসান ৪৮ রান করে ফিরলে সাড়ে তিনশ’র পর থামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
জবাবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রান করে ২২ রানের লিড তুলে নেয়। দলটির ওপেনার কার্টুস হেপি ৭১ রান করেন। তিনে নামা অধিনায়ক জো কার্টার ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। চারে খেলা নিক কেলির ইনিংসে লিড পেয়েছে কিউইরা। তিনি ১৬৭ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চারের সঙ্গে ছয়টি ছক্কা মারেন এই ব্যাটার। লোয়ার মিডলে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের ম্যাথু বোইলি ৫৮ রান করেন। তাদের ইনিংস থামান পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাঈম হাসান। তারা যথাক্রমে ৩ ও ৪ উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৮৭ রান তুললে ম্যাচ ড্র হয়। ওই ইনিংসে এনামুল ২৪ ও সাইফ হাসান ১৬ রান করে ফিরে যান। ওপেনিংয়ে নেমে জাকির ২৪ ও চারে নেমে অমিত হাসান ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল