Samakal:
2025-09-18@04:58:01 GMT

ড্র ম্যাচে বড় ইনিংসের আক্ষেপ

Published: 24th, May 2025 GMT

ড্র ম্যাচে বড় ইনিংসের আক্ষেপ

সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে হারের পর ঢাকায় দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে ড্র করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে সেট হয়ে ব্যাটাররা রান বড় করতে না পারার আক্ষেপ থেকে গেছে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির আশা দিয়ে পারেননি নাঈম শেখ। এনামুল হক বিজয় ও নুরুল হাসান ফিফটি মিস করেছেন। আবার সাইফ হাসান ফিফটি করেই আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও এনামুল ও সাইফ উইকেট বিলিয়ে দেন।

মিরপুর স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখ ও এনামুল হক ১৩০ রান যোগ করেন। এনামুল ফিরে যান ৯৭ বলে ৪৮ রান করে। পরেই নাঈম ৯৪ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ১০টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মারেন।

চারে ব্যাট করে জাকির হাসান ১৯ রান যোগ করেন। তিনে ব্যাট করা সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে ৫১ রান আসে। অমিত হাসানও ফিফটি করলেও ইনিংস খুব বড় হয়নি। তিনি ১১০ বলে ৬৭ রান করে আউট হন। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৪ রান ও অধিনায়ক নুরুল হাসান ৪৮ রান করে ফিরলে সাড়ে তিনশ’র পর থামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

জবাবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রান করে ২২ রানের লিড তুলে নেয়। দলটির ওপেনার কার্টুস হেপি ৭১ রান করেন। তিনে নামা অধিনায়ক জো কার্টার ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। চারে খেলা নিক কেলির ইনিংসে লিড পেয়েছে কিউইরা। তিনি ১৬৭ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চারের সঙ্গে ছয়টি ছক্কা মারেন এই ব্যাটার। লোয়ার মিডলে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের ম্যাথু বোইলি ৫৮ রান করেন। তাদের ইনিংস থামান পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাঈম হাসান। তারা যথাক্রমে ৩ ও ৪ উইকেট নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৮৭ রান তুললে ম্যাচ ড্র হয়। ওই ইনিংসে এনামুল ২৪ ও সাইফ হাসান ১৬ রান করে ফিরে যান। ওপেনিংয়ে নেমে জাকির ২৪ ও চারে নেমে অমিত হাসান ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এন ম ল র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ