বেতন পরিশোধ না করে ছুটি বৃদ্ধি সড়ক অবরোধ
Published: 24th, May 2025 GMT
গাজীপুরে দুই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একটি কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল শনিবার সকালে আন্দোলনে নামেন শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া এলাকার এম কে ফুটওয়্যার কারখানার শ্রমিকরা। ১০ দিন ছুটি শেষে শনিবার সকালে কারখানায় গিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ পান তারা। পরে মাওনা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন ও কারখানায় ভাঙচুর চালান।
শ্রমিকরা জানান, এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। মে মাসও শেষ। অন্যদিকে ঈদও এসে গেছে। বকেয়া ও চলতি মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন তারা। বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কর্তৃপক্ষ সেটা রক্ষা করেনি। তাদের প্রতি আর আস্থা নেই। বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
লাইলি আক্তার নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আজ না, কাল না পরশু বলে বলে সময় পার করছে। ওদিকে আমরা বাসা ভাড়া দিতে পারছি না। খাবার কিনতে পারছি না। তাদের তামাশা আর ভালো লাগে না। তাই রাস্তায় নেমেছি।’
শ্রমিক, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, বিল পরিশোধ করতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ। এ কারণে ১০ দিন আগে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছুটি শেষে শনিবার কারখানা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, ছুটি বাড়ানো হয়েছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে আবারও ছুটি বাড়ানোর কারণে সড়কে বসে পড়েন তারা। পরে বিক্ষোভ করেন।
কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস চলতি সপ্তাহেই পরিশোধ করা হবে। মে মাসের বেতনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি শ্রমিকদের জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা মানতে চাইছে না।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ জানান, ওই কারখানায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টাকা। ১০-১২ দিন আগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এ সপ্তাহের শেষ দিকে এপ্রিল মাসের বকেয়া পরিশোধ করা হবে এবং ঈদের আগেই মে মাসের অর্ধেক বেতন দেওয়া হবে। এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর দুপুরে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান শ্রমিকরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের তালা দেওয়া কক্ষে মিলল ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের তালা দেওয়া একটি কক্ষের ফাইল ক্যাবিনেট থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পরিষদের নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কক্ষটি খুলে নগদ টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।
জেলা পরিষদের পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘সদ্য দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিশ্রাম কক্ষ (রেস্ট রুম) ছিল এটি। কক্ষের তালা খুলে একটি ফাইল ক্যাবিনেটের ড্রয়ার থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে টাকাগুলো উদ্ধার করে ট্রেজারিতে জমা দিয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।’
অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, পরিষদে এত নগদ টাকা থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কীভাবে এসব টাকা এই কক্ষে এল, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। উদ্ধার করা টাকাগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জিরুনা ত্রিপুরার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের আদেশ জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আনা আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।