প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে ১০ বছর। শ্বশুরবাড়িতেই থাকি। স্বামীর চাকরির কারণে লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে থাকতে পারি না। তিনি থাকেন ঢাকায়। দুই ঈদ ছাড়া বছরে তিন থেকে চারবার ছুটিতে আসেন কয়েক দিনের জন্য।

আমাদের সাত বছরের একটি সন্তান আছে। আমার স্বামী বেশ ভালো। তবে এত বছরেও আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বা খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। স্বামীর তুলনায় আমার বরং দেবরের সঙ্গেই বন্ধুত্ব বেশি। তবে সেটা কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নয়। মাঝেমধ্যে এমন পরিবেশ তৈরি হলেও আমরা নিজেদের সামলে নিয়েছি।

দেবর পড়াশোনার কারণে বাড়িতে থাকায় সব দরকারে তাকে কাছে পাই, সন্তানের দেখভালেও সে আমাকে সাহায্য করে। বিয়ের পর আমি পড়াশোনা চালিয়ে গেছি। বিএ পাস করেছি। এই সময়ে দেবর আমাকে কলেজেও আনা–নেওয়া করত। গত এক বছর সে আমার ছেলেকেও স্কুলে আনা–নেওয়া করেছে।

দেবর দুই মাস আগে পড়াশোনার কারণে বাড়ি ছেড়েছে। এর পর থেকে আমার খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি তার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। হয়তো স্বামীর চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আমার আসলে কী করার আছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রউফুন নাহার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের তালা দেওয়া কক্ষে মিলল ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের তালা দেওয়া একটি কক্ষের ফাইল ক্যাবিনেট থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পরিষদের নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কক্ষটি খুলে নগদ টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।

জেলা পরিষদের পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘সদ্য দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিশ্রাম কক্ষ (রেস্ট রুম) ছিল এটি। কক্ষের তালা খুলে একটি ফাইল ক্যাবিনেটের ড্রয়ার থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে টাকাগুলো উদ্ধার করে ট্রেজারিতে জমা দিয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।’

অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, পরিষদে এত নগদ টাকা থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কীভাবে এসব টাকা এই কক্ষে এল, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। উদ্ধার করা টাকাগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জিরুনা ত্রিপুরার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের আদেশ জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আনা আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ