আমি স্বামীর চেয়ে দেবরের ওপর বেশি নির্ভরশীল, এই অবস্থায় কী করব
Published: 9th, July 2025 GMT
প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে ১০ বছর। শ্বশুরবাড়িতেই থাকি। স্বামীর চাকরির কারণে লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে থাকতে পারি না। তিনি থাকেন ঢাকায়। দুই ঈদ ছাড়া বছরে তিন থেকে চারবার ছুটিতে আসেন কয়েক দিনের জন্য।
আমাদের সাত বছরের একটি সন্তান আছে। আমার স্বামী বেশ ভালো। তবে এত বছরেও আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বা খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। স্বামীর তুলনায় আমার বরং দেবরের সঙ্গেই বন্ধুত্ব বেশি। তবে সেটা কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নয়। মাঝেমধ্যে এমন পরিবেশ তৈরি হলেও আমরা নিজেদের সামলে নিয়েছি।
দেবর পড়াশোনার কারণে বাড়িতে থাকায় সব দরকারে তাকে কাছে পাই, সন্তানের দেখভালেও সে আমাকে সাহায্য করে। বিয়ের পর আমি পড়াশোনা চালিয়ে গেছি। বিএ পাস করেছি। এই সময়ে দেবর আমাকে কলেজেও আনা–নেওয়া করত। গত এক বছর সে আমার ছেলেকেও স্কুলে আনা–নেওয়া করেছে।
দেবর দুই মাস আগে পড়াশোনার কারণে বাড়ি ছেড়েছে। এর পর থেকে আমার খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি তার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। হয়তো স্বামীর চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আমার আসলে কী করার আছে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রউফুন নাহার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইমোতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ-প্রতারণা, আটক ১২
নাটোরের লালপুরে ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে দেশি ও প্রবাসীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও প্রতারণার অভিযোগে ১২ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে তাদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ বুধবার ভোর ৫টার সময় লালপুরের বিলমাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বিলমাড়িয়া এলাকার রাসেল আহমেদ, আবির হোসেন, রিয়াজ হোসেন, রাব্বি হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. সানজিল, আবু কাউসার মোন্ন, সাগর আহমেদ, আব্দুল মমিন, হৃদয় আহমেদ, কাউসার আলী, প্রাপ্তি মণ্ডল।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকায় একটি চক্র ইমো অ্যাপের মাধ্যমে দেশি ও প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিত। এ ঘটনায় আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ এ চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করে। এ সময় তল্লাশি করে ১৬টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ১২টি বাটন ফোন, ৩০টি সিমকার্ড, ১টি দেশী অস্ত্র, ৫ পিস ইয়াবা ও গাঁজা জব্দ করে। পরে তাদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
লালপুর থানার ওসি মো. মমিনুজ্জামান বলেন, প্রতারক চক্রের ১২ জনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও ৮ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।