দিনাজপুরে বিশেষ ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ কোর্সের প্রশিক্ষণ আয়োজিত হবে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ২৫ জন এ উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের বাস্তবায়ন করা শিল্প প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবন প্রোগ্রামের জন্য দক্ষতা (এসআইসিআইপি) প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। এ উদ্যোগে সহায়তা করছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স।

উদ্যোক্তা উন্নয়নবিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সটির মেয়াদ হবে এক মাস। সময় ১০০ ঘণ্টা। এ উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণটি দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে।

প্রশিক্ষণ পাবেন ২৫ জন

প্রশিক্ষণটি হবে দিনাজপুরে। আইডিএলসির তত্ত্বাবধানে ২৫ প্রশিক্ষণার্থীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সপ্তাহে ৫ দিন করে মোট ২০ দিনের, ১০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ হবে। এতে বিজনেস মডেল ডেভেলপমেন্টের ওপর বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। বিনিয়োগ ও অর্থায়নসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও সহযোগিতা করা হবে। সাক্ষাৎকার ও বিজনেস ফিজিবিলিটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হবে।

যোগ্যতা ও শর্তাবলি

প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে এইচএসসি বা সমমান পাস।

বয়স সর্বনিম্ন ২২ থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ বছর।

যাঁরা ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা যাঁদের ব্যবসায়ের ধারণা ও পরিকল্পনা আছে কিন্তু দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বা যাঁদের ব্যবসা চালু আছে কিন্তু সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রশিক্ষণার্থীদের নিজ নিজ একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট আইডিএলসিতে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ, মাসিক হাতখরচের অর্থও মিলবে৩ ঘণ্টা আগেআবেদনের নিয়ম

প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের SME Portal/SICIP ট্যাব থেকে Business Feasibility Report Template ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। পূরণ করা ফরম সংযুক্তিসহ স্ক্যান করে [email protected] ই-মেইলে পাঠাতে হবে। আবেদন যাচাই–বাছাই শেষে যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে কেমন খেলল আনচেলত্তির ব্রাজিল

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন ‘ফর্ম’ বা ‘আইডিয়াজ’-এর কথা। তাঁর মতে, প্রতিটি জিনিসের একটি চিরস্থায়ী, নিখুঁত ও আদর্শ রূপ আছে। আমরা পৃথিবীতে যা দেখি, তা আসলে সেই নিখুঁত রূপেরই অনুকরণ। যেমন কালো রঙের একটা নিখুঁত ধারণা আমাদের মনের ভেতরে আছে বলেই আমরা চারপাশে কালো রঙের নানা রূপ দেখি। বাস্তবে আমরা যে কালো দেখি, সেটা আসলে সেই নিখুঁত কালোরই প্রতিলিপি।

ফুটবলকে যদি প্লেটোর এই ধারণার আলোকে দেখি, তবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সৃষ্টি ‘জোগো বনিতো’কে নিখুঁত ফুটবল বলা যায়। আমরা যে ফুটবলের নান্দনিকতা, কৌশল আর সৌন্দর্য দেখি, তা মূলত সেই নিখুঁত ফুটবলেরই প্রতিফলন। আমাদের চোখ সব সময় সেই আদর্শ ফুটবল খুঁজে বেড়ায়। কোথাও তার আভাস পেলেই আমরা উল্লসিত হয়ে উঠি। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই প্রত্যাশা থাকে ব্রাজিলের কাছেই, যারা নিজেরাও অনেক আগেই সেই খেলা পেছনে ফেলে এসেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ঘিরে আবারও সামনে এসেছে ‘জোগো বনিতো’র আলাপ। সেদিন ৯০ মিনিট ধরে অসাধারণ ফুটবল খেলেছিল ব্রাজিল। এরপরই কিছু সংবাদমাধ্যম ও সমর্থক প্রশ্ন তোলে—ব্রাজিলের ‘জোগো বনিতো’ কি আবার ফিরে এল? তবে প্লেটোর ফর্মের যুক্তি মেনে নিলে, সেই নিখুঁত রূপ আসলে কোথাও নেই।

আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে যা বললেন ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি১০ অক্টোবর ২০২৫

বরং মনে হয়, ব্রাজিলও হয়তো ভুলে গেছে সেই রূপটা কেমন ছিল। কিন্তু হারানো ঐতিহ্যের প্রতি টানই মাঝেমধ্যে আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই খেলার কথা। ‘জোগো বনিতো’র আলোচনাটা সরিয়ে রাখলেও, সেদিন ৫–০ গোলে জেতার পথে ব্রাজিলের ফুটবল সত্যিই ছিল চোখধাঁধানো। অনেক দিন পর সমর্থকেরা হয়তো খেলা দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন। যদিও পরের ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে সেই ব্রাজিলকে পাওয়া গেল সামান্যই।

প্রথমার্ধে ২–০ গোলে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩–২ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। আনচেলত্তি এ ম্যাচে দলে অনেক পরিবর্তন এনেছিলেন। তবু প্রশ্ন উঠতেই পারে—আসল ব্রাজিল কোনটা? দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দেওয়া দল, নাকি জাপানের বিপক্ষে এগিয়েও হেরে যাওয়া দল? হয়তো আসল ব্রাজিলকে খুঁজতে হবে এই দুই রূপের মাঝামাঝি কোথাও।

ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ