কদমতলীতে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ব্রীজ করে দিলেন শামীম ঢালী
Published: 22nd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডে এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে নিজ অর্থায়নে ব্রীজ করে দিলেন থানা বিএনপির সদস্য শামীম আহমেদ ঢালী।
নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী উত্তর পশ্চিমপাড়া এলাকায় খালের উপরে লোহা এবং কাঠের সমন্বয়ে দুইটি ব্রীজ নির্মাণ করেন বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ ঢালী।
রবিবার (২২ জুন) বিকালে কদমতলী উত্তর-পশ্চিম পাড়া এলাকায় নির্মিত ব্রীজ দুইটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে শামীম আহমেদ ঢালী এলাকাবাসীকে নিয়ে ব্রীজ উদ্বোধন করেন।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম আহমেদ ঢালীর নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: রকিব, মো: শহিদ, মো: আশরাফ, ইব্রাহীম, মো: মাসুদ, আমির হোসেন কুট্টি, রানা, নাসির, সিরাজ, মিরাজ, আয়ুব আলী মুন্সী, বাদল, মোবারক হোসেন, ওমর ফারুক, ৭ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সাবেক সভাপতি সাগর বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন, জিয়া সৈনিক দলের সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন, আল-আমীন, শাহ আলম, অন্তর,শুভ, দিগন্ত ও তাসিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
শামীম আহমেদ ঢালী তার বক্তব্যে বলেন, এলাকাবাসীর আহ্বানে আমি আমার অর্থায়নে দুইটি ব্রীজ নির্মাণ করেছি। আগামী দিনেও এলাকাবাসীর উন্নয়নে আমি তাদের পাশে রয়েছি। এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কদমতলী উত্তর-পশ্চিম পাড়া এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা কয়েকটি বাঁশের সাঁকু দিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভাবে চলা ফেরা করতো। আর এসব সাঁকু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে বাসিন্দারা দূর্ঘটনার কবলে পরতে হতো। তাই এলাকাবাসীর ভোগান্তি লাগবে এগিয়ে আসেন শামীম আহমেদ ঢালী। নিজ অর্থায়নে তৈরী করে দেন দুইটি ব্রীজ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শ ম ম আহম দ ঢ ল এল ক ব স র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন দিন আগে বন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় যান রংপুরের আশরাফুল, ড্রামে মিলল ২৬ টুকরা লাশ
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২)। তিন দিন আগে বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা যান তিনি। স্ত্রী লাকী বেগম গত বুধবার থেকে স্বামীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। তবে ফোন ধরেছেন জরেজ মিয়া। তিনি লাকীকে জানাতেন, আশরাফুল বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লাকী বেগম ভাইকে নিয়ে বদরগঞ্জ থানায় গেলে জানতে পারেন, ঢাকায় নীল রঙের একটি ড্রামের ভেতর থেকে ২৬ টুকরা অবস্থায় আশরাফুলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আঙুলের ছাপ মিলিয়ে শনাক্ত করা হয় লাশটি।
আশরাফুলের শ্যালক আবদুল মজিদ বলেন, ‘আশরাফুল তার বাবাকে হাসপাতালে রেখে মঙ্গলবার মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকা যায়। গত বুধবার বিকেল ৫টায় বোনের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তখন সে বোনকে বলেছে, “বাবাকে হাসপাতালে রিলিজ দিবে, টাকাপয়সা দিছি। বাবাক নিয়া আইসো।”এরপর থাকি আশরাফুলকে কল দিলে তার বন্ধু জরেজ ধরে। আর বলে, আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।’
আবদুল মজিদ আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন দিলে আবার জরেজ ফোন ধরে। কিন্তু আশরাফুলকে দেয় না। এ জন্য বোন জরেজের স্ত্রীর কাছে যায়। জরেজের স্ত্রী তাকে ফোন দিলে আশরাফুলের ফোন ধরে না কেন জানতে চাইলে জরেজ বলেন, আশরাফুলের ফোন ড্রেনে কুড়ায় পাইছে। এরপর বোনসহ থানায় আসি। এসে শুনি তাকে খুন করছে। তার লাশ উদ্ধার হইছে ঢাকায়। আমরা হত্যাকারীর বিচার চাই।’
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিহত আশরাফুল হকের স্ত্রী-স্বজনেরা থানায় এসেছিল। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছি। সেগুলো দিয়ে ওসি রমনা, শাহবাগকে সহযোগিতা করছি। এ ঘটনায় ঢাকায় মামলা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার সেখানে যাচ্ছে।’ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।