আমাদের নাকের পেছনে ও মাথার খুলির ভেতর কিছু ফাঁকা জায়গা আছে—যার নাম সাইনাস। এই অংশে তরল জমে প্রদাহ সৃষ্টি করলে নানা রকম সংক্রমণ ঘটে যাকে বলে সাইনোসাইটিস। ধুলাবালু নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এই প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে।  হতে পারে মাথাব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে আসতে পারে। কখনো-কখনও সর্দি দেখা দিতে পারে। সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হলে হাড় বাঁকা, ইনফেকশন, মাথা নামালেই ব্যথা, ভারি হয়ে যাওয়া। 

অনেকে মাইগ্রেনের ব্যথাকেক সাইনাসের ব্যথা ভেবে ভুল করেন। ডা.

তুষার কান্তি ঘোষ, নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘মাইগ্রেনের ব্যথা একদিকে হয় আর সাইনোসাইটিসের সমস্যা রোদে গেলে বাড়ে। সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে কিনা, এটা বুঝতে নাকে এন্ডোসকপি করা লাগতে পারে। আপনি যখন দীর্ঘদিন সাইনোসাইটিস সমস্যা ভুগতে থাকবেন তখন  নাকে পলিপ হয়ে যাবে। তখন আর ওষুধ সমস্যার সমাধান হবে না।’’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘ সাইনোসাইটিস-এর সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো নাক পরিষ্কার রাখা। নাক ধোয়া, মাঝে মাঝে স্টিম নিতে পারেন। এক কথায় নাক পরিষ্কার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে। নাক যদি ক্লিয়ার থাকে তাহলে সাইনাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম।’’

আরো পড়ুন:

গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, কী করবেন না

লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে পারে যেসব খাবার

নাকের পেছনে ও মাথার খুলির ফাঁকা জায়গাগুলোতে বাতাসের স্বল্পতা তৈরি হলে ইনফেকশন তৈরি হয়। মেজর সমস্যা দেখা দিয়ে সিটিস্ক্যান করা লাগতে পারে। তবে এই রোগ চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন স র সমস য স ইন স স ইট স

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে ৩ জনকে হত্যা: ৮ জন রিমান্ডে

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও সদস্য বাচ্চু মিয়াও রয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন—রবিউল আউয়াল, আতিকুর রহমান (৪২), বায়েজ মাস্টার (৪৩), দুলাল (৪৫), আকাশ (২৪), মো. সবির আহমেদ (৪৮) এবং নাজিমুদ্দিন বাবুল (৫৬)। তাদের সবাইকে পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আরো পড়ুন:

গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যা: ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২

প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি পুড়িয়ে দিল গ্রামবাসী

কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. সাদিকুর রহমান জানিয়েছেন, গণপিটুনির মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। রিমান্ড শেষে মেডিকেল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গত ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—কড়ইবাড়ি গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)। এ সময় গুরুতর আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার। রুমাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ ৬৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই সেনাবাহিনী এবং র‌্যাব অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যার মামলার তদন্তভার প্রথমে বাঙ্গরা থানাকে দেওয়া হলেও পরে তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করছেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী।

ঢাকা/রুবেল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ