সাইনাসের সমস্যা দূর করতে যে কাজটি করা দরকার
Published: 9th, July 2025 GMT
আমাদের নাকের পেছনে ও মাথার খুলির ভেতর কিছু ফাঁকা জায়গা আছে—যার নাম সাইনাস। এই অংশে তরল জমে প্রদাহ সৃষ্টি করলে নানা রকম সংক্রমণ ঘটে যাকে বলে সাইনোসাইটিস। ধুলাবালু নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এই প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। হতে পারে মাথাব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে আসতে পারে। কখনো-কখনও সর্দি দেখা দিতে পারে। সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হলে হাড় বাঁকা, ইনফেকশন, মাথা নামালেই ব্যথা, ভারি হয়ে যাওয়া।
অনেকে মাইগ্রেনের ব্যথাকেক সাইনাসের ব্যথা ভেবে ভুল করেন। ডা.
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘ সাইনোসাইটিস-এর সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো নাক পরিষ্কার রাখা। নাক ধোয়া, মাঝে মাঝে স্টিম নিতে পারেন। এক কথায় নাক পরিষ্কার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে। নাক যদি ক্লিয়ার থাকে তাহলে সাইনাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম।’’
আরো পড়ুন:
গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, কী করবেন না
লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে পারে যেসব খাবার
নাকের পেছনে ও মাথার খুলির ফাঁকা জায়গাগুলোতে বাতাসের স্বল্পতা তৈরি হলে ইনফেকশন তৈরি হয়। মেজর সমস্যা দেখা দিয়ে সিটিস্ক্যান করা লাগতে পারে। তবে এই রোগ চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন স র সমস য স ইন স স ইট স
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’