অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আইন অঙ্গণ যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, উচ্চ আদালত যে দেশের সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন, তা আইন সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে। আইন-আদালতের সংবাদগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে সে সময়ে বিচারকরাও অনুপ্রাণিত হন। বিচারকরাও চান খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে। 

মঙ্গলবার আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টাস ফোরামের (এলআরএফ) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ রিপোর্টাস ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও অনেকবার চিন্তা করে। আবার অনেকে ভাল কাজ করতেও অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের ভূমিকা রয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা বিশেষ সাংবাদিক। কারণ সাধারণ রিপোর্টাররা আইন বিটে কাজ করতে পারেন না। এই বিটের রিপোর্টাররা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। 

ফোরামের সভাপতি হাসান জাবেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, বদরুদ্দোজা বাদল, মোতাহার হোসেন সাজু, মোহাম্মদ শিশির মনির, ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম মিঠু, মনিরুজ্জামান মিশন প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোবারকের আপিল শুনানি শুরু

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মোবারক হোসেনের ১১ বছর আগে করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানি গ্রহণ করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারক হোসনেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীন দেশে জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘রুকন’ হন তিনি। পরবর্তী সময়ে মোবারক আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।

আজ আদালতে মোবারকের পক্ষে আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিমও উপস্থিত আছেন।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। সাক্ষীদের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়েছে।

আরও পড়ুনসাবেক আ.লীগ নেতা মোবারকের মৃত্যুদণ্ড২৪ নভেম্বর ২০১৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের আইনি নোটিশ
  • ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
  • ফারুক খানের চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ কাল
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোবারকের আপিল শুনানি শুরু
  • জঙ্গি সন্দেহে তুলে নেওয়ার ৫ বছর পর মুক্তি পেলেন খুবির দুই
  • আইনজীবী পরিবর্তনে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির অবসান চান আইন উপদেষ্টা
  • হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে না পাঠাতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ 
  • হাইকোর্ট বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তর না করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ১০ জুলাই