বিচারকরাও চান খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে: অ্যাটর্নি জেনারেল
Published: 8th, July 2025 GMT
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আইন অঙ্গণ যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, উচ্চ আদালত যে দেশের সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন, তা আইন সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে। আইন-আদালতের সংবাদগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে সে সময়ে বিচারকরাও অনুপ্রাণিত হন। বিচারকরাও চান খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে।
মঙ্গলবার আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টাস ফোরামের (এলআরএফ) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ রিপোর্টাস ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও অনেকবার চিন্তা করে। আবার অনেকে ভাল কাজ করতেও অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের ভূমিকা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা বিশেষ সাংবাদিক। কারণ সাধারণ রিপোর্টাররা আইন বিটে কাজ করতে পারেন না। এই বিটের রিপোর্টাররা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন।
ফোরামের সভাপতি হাসান জাবেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, বদরুদ্দোজা বাদল, মোতাহার হোসেন সাজু, মোহাম্মদ শিশির মনির, ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম মিঠু, মনিরুজ্জামান মিশন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল