রংপুর বিভাগের দিনাজপুর শিক্ষবোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ ও জিপিএ-৫-এ  মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। তবে পাশের হার গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে। এবার এই বোর্ডে পাশের হার ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর আগের বছর পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। 

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ছাত্রদের মধ্যে পাশের হার ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৬৯ দশমিক শতাংশ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন। এর মধ্যে ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৫৪৬ জন এবং ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৫১৬ জন। এই বোর্ডে এবার ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করেছে। মোট পরীক্ষাথীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন। এর মধ্যে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৫ জন। বিভাগের ৮ জেলায় ২৭৮২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মোট ২৮০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। 

এবারের পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হয়েছে ৫৯ জন পরিক্ষার্থী। শতভাগ পাশকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮টি ও পাশশুন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৩টি। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে দিনাজপুর জেলা। এই জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩ জন। এর পরেই রয়েছে রংপুর। এখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১৪৮ জন। এছাড়া গাইবান্ধায় ১ হাজার ৮১২ জন, নীলফামারীতে এক হাজার ৭৪২ জন, কুড়িগ্রামে ১ হাজার ১৫৮ জন, লালমনিরহাটে ৬২২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৮২২ জন ও পঞ্চগড়ে ৭৯৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এদিকে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের আওতায় রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভাল করেছে। প্রতি বছরের মত এবারও রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৫ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। রংপুর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএসস পর ক ষ য় দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ