চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ–৫
Published: 10th, July 2025 GMT
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৪৩ জন। গতবারের তুলনায় পাসের হার কমলেও জিপিএ–৫ বেড়েছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৮২৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে এসব তথ্য জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম ছাড়া কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। সব মিলিয়ে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ১৮১ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ভালো ফলাফলে উচ্ছ্বাসে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর সোয়া দুইটায় চট্টগ্রামে ডা.খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দীঘিনালায় অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী
টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কর্মহীন-গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন প্রায় ৪৪ পরিবারের লোকজন।
অন্যদিকে নদীর পানিবৃদ্ধি হওয়ায় দীঘিনালা-লংগদু সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ফসলি জমি তলীয়ে গেছে। আর বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় আশঙ্কা রয়েছেন স্থানীয়রা। আরও কয়েকদিন ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটতে পারে।
তাছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে স্থানীরা। তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকি পূর্ণ এলাকায় বসবাসতদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন যুব রেড ক্রিসেন্ট ও আনসার-ভিডিপি সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা ও শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও পানিবন্দী রয়েছে কয়েকশ পরিবার। আর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় মাইকিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।