Samakal:
2025-10-16@19:33:13 GMT

ভারত থেকে এলো ১০ টন কাঁচা মরিচ

Published: 10th, July 2025 GMT

ভারত থেকে এলো ১০ টন কাঁচা মরিচ

সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নষ্ট হয়েছে মরিচের ক্ষেত। এতে বাজারে সরবরাহ কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির। সংকটের কারণে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। হিলি স্থলবন্দর এলাকায় সর্বশেষ দাম ঠেকেছে কেজিতে ২০০ টাকা। দাম বাড়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে হিলি বন্দরে প্রবেশ করে ১০ টন মরিচবোঝাই দুটি ট্রাক। বন্দরের এন পি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে মরিচগুলো আমদানি করেন। রপ্তনিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের গঙ্গেশ্বরী ইন্টারন্যাশনাল।

আমদানিকারক এন পি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দাম বাড়তে শুরু করেছে। দেশের বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভারত থেকে আমদানি শুরু করেছি।

তিনি জানান, বন্দরে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ কিনতে ইতোমধ্যে পাইকাররা ভিড় করছেন। বন্দরে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

এদিকে আমদানির খবরে হিলি বন্দর এলাকায় খুচরা পর্যায়ে কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ সন্ধ্যায় ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে আমদানি হবে। এতে দেশের বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

বন্দরের তথ্যমতে, গেল বছরের ১৫ নভেম্বর এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।  দীর্ঘ সাত মাস পর বৃহস্পতিবার দুটি ট্রাকে সাড়ে ১০ টান আমদানি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক চ মর চ আমদ ন ন ক রক আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কালীগঞ্জে এইচএসসি ফলাফলে পাসের চেয়ে ফেল বেশি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল যেন শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

উপজেলার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৫৪ জন, আর অকৃতকার্য হয়েছে ৬৭৪ জন। অর্থাৎ পাসের চেয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি!

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই কলেজে ৩ শিক্ষার্থী, শতভাগ ফেল

এইচএসসিতে শতভাগ জিপিএ-৫ পেল মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ

এই পরিসংখ্যান কালীগঞ্জের শিক্ষাঙ্গনে এক ধরনের হতাশার জন্ম দিয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের মতে, ফলাফলের এ চিত্র শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ, পাঠদানের মানহীনতা এবং শিক্ষা প্রশাসনের দুর্বল তদারকির স্পষ্ট প্রতিফলন।

তবে হতাশার মাঝেও সামান্য আশার আলো জ্বেলেছে কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থী। মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে জিপিএ–৫ অর্জন করেছে।

কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৭৫ ও ফেল ১৭০, মানবিকে পাস ৯০ ও ফেল ২১৯, বিজ্ঞানে পাস ৫৬ জন। এ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ শিক্ষার্থী। মোট পাস ২২১ ও অকৃতকার্য ৪৩৬ জন।

জামালপুর কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৭ জন ও ফেল ১৯ জন, মানবিকে পাস ২৩ জন ও ফেল ৫৮ জন, বিজ্ঞানে পাস ৪ জন ও ফেল ৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস ৩৪ ও অকৃতকার্য ৮২ জন।

আজমতপুর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৮ জন ও ফেল ৬ জন, মানবিকে পাস ১৬ জন ও ফেল ৩৩ জন । জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মোট পাস ২৪ জন ও অকৃতকার্য ৩৯ জন।

কালীগঞ্জ মহিলা কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ১২ জন ও ফেল ১ জন, মানবিকে পাস ৩০ জন ও ফেল ২৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মোট পাস ৪২ জন ও অকৃতকার্য ২৭ জন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৫ জন ও ফেল ৬ জন, মানবিকে পাস ১ জন ও ফেল ১৪ জন। মোট পাস ৬ জন ও অকৃতকার্য ২০ জন।

সেন্ট মেরিস গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৭৮ জন ও ফেল ১৩ জন, মানবিকে পাস ৬৫ জন ও ফেল ২৩ জন, বিজ্ঞানে পাস ৪৭ জন ও ফেল ৯ জন । এখানে জিপিএ–৫ পেয়েছে ১৪ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস ১৯০ জন ও অকৃতকার্য ৪৫ জন।

সেন্ট নিকোলাস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৩৩ জন ও ফেল ১৯ জন, মানবিকে পাস ৪ জন ও ফেল ৬ জন। মোট পাস ৩৭ জন ও অকৃতকার্য ২৫ জন।

সব হতাশার মধ্যেও জিপিএ–৫ পাওয়া ১৯ জন শিক্ষার্থী দেখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাফল্য অসম্ভব নয়। তবে এই ক্ষীণ সাফল্য কালীগঞ্জের সামগ্রিক শিক্ষা সংকট ঢাকতে পারছে না।

শিক্ষাবিদদের মতে, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি, মানসম্মত ক্লাসের অভাব, পর্যাপ্ত একাডেমিক পরিবেশের সংকট এবং প্রশাসনিক তদারকির দুর্বলতা—এসবই এ ফলাফলের পেছনে প্রধান কারণ।

ঢাকা/রফিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ