ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার বিভিন্ন সময় এ হামলা চালানো হয়। হাসপাতালের সূত্র এই তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিতর্কিত মানবাধিকার সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতেরা ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ আল–শাতি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে সেখানে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ভীতিকর পরিবেশ দেখা গেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে অন্তত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জিম্মি করা হয় অনেককে। ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় ৫৭ হাজার ৮৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫ জন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

এয়ার টিকিটে সিন্ডিকেটের অভিযোগ আটাবের

উড়োজাহাজের টিকিটের বাজার আবার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

শনিবার (১২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটাব জানায়, গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা ও দাম্মাম রুটে টিকিটের মূল্য ‘গ্রুপ নামেই’ প্রায় ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আর ‘কম্পিউটার সিস্টেমে’ এটা উঠে যায় ১ লাখ ৭০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের যাত্রীদের টিকিট বিদেশি এজেন্সির কাছে নাম ছাড়া ব্লক করে দিয়ে আসন সংকট সৃষ্টি করছে। বিদেশি এজেন্সিরা দেশের কিছু সিন্ডিকেট এজেন্সি ও দালালের মাধ্যমে এসব টিকিট বিক্রয় করে টাকা হুন্ডি করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট কমানোর ফলে আসনও কমে গেছে, যা টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ।

আটাব বলছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এয়ারলাইন্স, গ্লোবাল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) ও টিকিট সিন্ডিকেট চক্র যাত্রীর নামবিহীন অগ্রিম ‘গ্রুপ বুকিং’ করছে এবং পুনরায় এয়ার টিকিট মার্কেট তাদের সিন্ডিকেশনের দখলে নিয়ে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি করেছে। এতে এয়ার টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এর ফলে যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আইনিব্যবস্থা না নেওয়ায় টিকিটের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্রমিক ও যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দাম আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে আটাব।

বাংলাদেশের এয়ার টিকিটের উচ্চমূল্য কমানো এবং এ খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। তাতে যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে টিকিট বুকিং করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। এতে টিকিটের মূল্য কমে আসে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ‘বাজেট’ এয়ারলাইন্স ও সিন্ডিকেট চক্র পুনরায় সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে আটাব।

তারা বলছে, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স ভুয়া নাম দিয়ে টিকিট বুকিং করে রাখে। ভুয়া নামে বুকিং করা টিকিটগুলো ফ্লাইটের এক-দুই দিন আগে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করা হয়।

ঢাকা/হাসান/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ