প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি করেছেন ওসি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী বিদেশি একটি নম্বর থেকে কল করে এই হুমকি দেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন ওসি মাইনুল ইসলাম।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিথুন ঢালী জাজিরা থানা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালে তাঁরা কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি মিথুন ঢালী গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিদেশি একটি নম্বর থেকে ওসিকে কল করে তাঁকে ও প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মিথুন ঢালীর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ওসি মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মিথুন ঢালীর বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শে একটি জিডি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগ ছাত্রদল নেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একজন রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. খোকন মিয়ার (৪০) বাড়ি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, করমা গ্রামের কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুই ভাই ছিলেন। ৬-৭ বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জমি নিয়ে কছিম উদ্দিনের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের ছেলেদের বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় থানায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলাও হয়। স্থানীয়ভাবে দুই পরিবারের বিরোধ মেটাতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলে তা মানেননি কেউ।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশা রেখে ঘর থেকে বের হন খোকন মিয়া। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন। এ সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ