পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রেনাটা পিএলসির ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

যমুনা অয়েলের ১৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামল ম্যাকসন স্পিনিং

কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৯২ শতাংশ  শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। সে হিসেবে কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ৯.

২০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে উল্লিখিত লভ‌্যাংশ প্রদানের অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

স্কয়ারের কেনিয়ার কারখানা দুই বছরের মধ্যে মুনাফায়

বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর দুই বছরের মাথায় মুনাফায় ফিরেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কেনিয়ার কারখানাটি। স্কয়ার ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেনিয়ায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কারখানাটির। এটি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড নামে দেশটিতে নিবন্ধিত।

জানা গেছে, গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে স্কয়ারের কেনিয়ার কারখানাটি প্রায় ১০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ২০২৩ সালের মার্চে উৎপাদন শুরু করা এই কারখানা এই প্রথম মুনাফার দেখা পেল। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশের মাটিতে কারখানা করে দ্রুততম সময়ে সেটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে স্কয়ার।

স্বয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে স্কয়ার ফার্মা গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। তাতে কোম্পানিটির সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ইউনিটের আয়–ব্যয়ের পাশাপাশি লাভ–লোকসানের হিসাবও তুলে ধরা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে স্কয়ার ফার্মার কেনিয়ার কারখানারও আয়–ব্যয়ের তথ্য আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়। আর্থিক এই প্রতিবেদন থেকে স্কয়ার ফার্মার কেনিয়ার মুনাফার তথ্য পাওয়া গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে কেনিয়ার কারখানাটি কেনিয়ার মুদ্রা কেনিয়ান সিলিংয়ে প্রায় সাড়ে ৭৪ কোটির ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭০ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি (প্রতি কেনিয়ান সিলিং বাংলাদেশের ৯৫ পয়সার সমান)। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কারখানাটির ব্যবসা বেড়েছে ৪৫ কোটি টাকার বা ১৭৩ শতাংশের বেশি। তাতে লোকসানি কোম্পানিটি গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো মুনাফার দেখা পেয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে সব মিলিয়ে কেনিয়ার কারখানাটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ২১ লাখ কেনিয়ান সিলিং, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বেশি। তার আগে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ২৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি লোকসান করেছিল। সেই লোকসান কাটিয়ে গত অর্থবছরে মুনাফায় ফেরে কোম্পানিটি।

জানা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কেনিয়ায় ওষুধ কারখানা করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কয়ার ফার্মার পরিচালনা পর্ষদ। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ওই বছরের ১০ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্তের কথা শেয়ারধারীদের জানানো হয়। স্কয়ার ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই বিদেশের মাটিতে নতুন এ কারখানা খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কেনিয়ায় নতুন এ কারখানা করতে কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে দুই কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়, যার বড় অংশ স্কয়ার ফার্মা নিজে জোগান দেয়। বাকি অর্থ ঋণ নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে দেশীয় কোনো কোম্পানির বিদেশে মূলধন স্থানান্তরের সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশীয় কোম্পানি বিদেশে মূলধন স্থানান্তর করতে পারে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বেশ কিছু কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে বিদেশে কোম্পানি খোলা ও মূলধন স্থানান্তরের অনুমোদন দিয়েছে।

স্কয়ার ফার্মা সূত্রে জানা যায়, কেনিয়ার কারখানায় উৎপাদিত ওষুধের বড় অংশই দেশটির স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। এর বাইরে দক্ষিণ সুদান ও সোমালিতে কিছু ওষুধ রপ্তানি করা হয়। কেনিয়ার কারখানাটিতে সব মিলিয়ে ২৫০ জনের কর্মসংস্থান রয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি, বাকিরা কেনিয়ার নাগরিক।

জানতে চাইলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেনিয়ার কারখানাটিতে নানা ধরনের প্রায় ২৭ রকমের ওষুধ উৎপাদিত হয়। এসব ওষুধ কেনিয়ার বাজারে বাজারজাতের পাশাপাশি আশপাশের কয়েকটি দেশেও আমরা রপ্তানি শুরু করেছি। ব্যবসা খুব দ্রুত বাড়ছে। তাতে দুই বছরের মাথায় বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে আমরা লাভের মুখ দেখলাম।’

এদিকে দেশ–বিদেশের সব ব্যবসা মিলিয়ে গত অর্থবছর শেষে স্কয়ার ফার্মার মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। তার আগে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে স্কয়ার ফার্মার মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের রেকর্ড লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওষুধ খাতের দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বা স্কয়ার ফার্মা।

কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করবে ১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটি ১২০ শতাংশ নগদ বা ১২ টাকা করে লভ্যাংশ দেবে। নিয়ম অনুযায়ী, বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমের অনুমোদনের পর ঘোষিত এই লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্কয়ারের কেনিয়ার কারখানা দুই বছরের মধ্যে মুনাফায়
  • এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
  • দেশের অন্য এলাকার তুলনায় চট্টগ্রামে হৃদরোগী কেন বেশি
  • ইসরায়েলের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় কেন বন্ধ রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • ব্রিটিশ রাজা চার্লস নিজের ক্যানসার চিকিৎসা নিয়ে ‘সুখবর’ শোনালেন
  • গ্রেপ্তার বমদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের অভিযোগ আনুন, না হয় মুক্তি দিন