Prothomalo:
2025-12-04@17:25:51 GMT

বুদ্ধিমান এক বালকের ঘটনা

Published: 14th, January 2025 GMT

সাহাবি সুহাইব রুমি (রা.)–এর বরাতে একটি হাদিস পাওয়া যায়। তিনি রাসুল (সা.)–এর কাছ থেকে নিচের কাহিনিটি শুনেছেন।

এক বাদশাহর দরবারে একজন জাদুকর ছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় এক সময় তিনি বুড়ো হলেন। তখন বাদশাহকে গিয়ে বললেন, আমাকে একজন বুদ্ধিমান বালক এনে দিন। আমি তাকে এই বিদ্যাটি শিখিয়ে দেব।’

বাদশাহ একটি বুদ্ধিমান বালককে জাদুকরের কাছে তুলে দিলেন। বালকটি যে পথে জাদুকরের কাছে যেত, সে পথে একজন পাদরির বাড়িও ছিল। আসা-যাওয়ার পথে বালকটি পাদরির কাছে গিয়ে বসত। তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। পাদরির প্রতি ধীরে ধীরে বালকটির মুগ্ধতা তৈরি হলো।

একদিন বালকটির যাওয়ার পথে এক বড় জন্তু বসে ছিল। যাওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। বালকটি ভাবল, এটা জাদুকরি নাকি সত্য, তা পরীক্ষা করে দেখার এটিই উপযুক্ত সময়। সে একটি পাথরের টুকরা কুড়িয়ে নিয়ে বলল, ‘হে আল্লাহ, যদি পাদরির আমল তোমার কাছে জাদুকরের আমলের চেয়ে ভালো এবং পছন্দের বলে মনে হয়, তাহলে এই জন্তুকে মেরে ফেল, যাতে মানুষের যাতায়াতের পথটি খুলে যায়।’ এই বলে বালকটি পাথর ছুড়লে জন্তুটি মারা গেল।

আরও পড়ুনফজরের নামাজে জেগে ওঠার কৌশল১৫ অক্টোবর ২০২৩

বালক এবার পাদরির কাছে এসে সব খুলে বলল। পাদরি বললেন, ‘বাবা, এবার তুমি জ্ঞানের পূর্ণতায় পৌঁছে গেছ। তোমার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই পরীক্ষায় কোনোভাবেই আমার নাম প্রকাশ করবে না।’ সেই বালকটিকে আল্লাহ অলৌকিক ক্ষমতা দিলেন। সে অন্ধ ও কুষ্ঠরোগে আক্রান্তসহ বহু রোগীর জন্য দোয়া করতে লাগল। তারাও সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। তবে কেবল যারা খ্রিষ্টধর্মে ঈমান আনত, তারাই তার দোয়ায় উপকার পেত। একদিন বাদশাহর এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির চোখের অন্ধত্বও তার দোয়ায় সেরে গেল।   তার অলৌকিক ক্ষমতার খবর ইহুদি বাদশাহর কানে গেলে তিনি বিচলিত হয়ে পড়লেন। বালকটির ধর্মে ইমান আনা কিছু লোককে বাদশাহর আদেশে হত্যা করা হলো। বালকটিকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েকজন লোককে ডেকে তিনি বললেন, ‘ওকে এউ উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দাও।’

আরও পড়ুনযে কারণে রিজিক কমে যায় ১৪ অক্টোবর ২০২৩

বালক আল্লাহর কাছে দোয়া করলে পাহাড় কাঁপতে লাগল। ফলে সে ছাড়া সবাই পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেল। এবার বাদশাহ তাকে অন্য একদল লোকের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘একে একটি নৌকায় চড়িয়ে সমুদ্রে নিয়ে ডুবিয়ে দাও।’ সেখানেও বালকের দোয়ায় নৌকা উল্টে গেল। ফলে সবাই পানিতে ডুবে মারা গেল। কিন্তু বালকটি বেঁচে গেল।   এবার সেই বালক বাদশাহকে বলল, ‘আপনি যদি আমাকে হত্যা করতেই চান, তাহলে এর সঠিক পদ্ধতি হলো একটি খোলা ময়দানে মানুষ জমায়েত করুন। এরপর বালকের রবের নামে “বিসমিল্লাহি রাব্বিল গোলাম” বলে শুরু করছি—এই কথা বলে আমার গায়ে তির ছুড়ুন। তাহলে আমি মারা যাব।’   বাদশাহ তা-ই করলেন। বালকটি মারা গেল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত লোকজন সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমরা এই বালকের রবের প্রতি ইমান আনলাম।’  বাদশাহ এবার আরও বেশি বিচলিত হয়ে পড়লেন। তিনি তাদের জন্য গর্ত খুঁড়ে তাতে আগুন জ্বালানোর আদেশ দিলেন। এরপর বললেন, ‘যারা যারা এই বালকের ধর্ম থেকে ফিরে না আসবে, তাদের এই গর্তে ফেলে দাও।’ একে একে সব ইমানদার এগিয়ে এসে সেই গর্তে লাফ দিল। শেষে এল একটি নারীর পালা। তাঁর সঙ্গে একটি শিশুও ছিল। তিনি একটু ইতস্তত করলে শিশুটি বলে উঠল, ‘মা, ধৈর্য ধরুন। আপনি সত্যের ওপর আছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩,০০৫)  

আরও পড়ুনআজান কেমন করে এল ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে পবিত্র কোরআনের সুরা বুরুজে আল্লাহ বলেছেন, ‘অভিশপ্ত হয়েছিল (অগ্নিকুণ্ডের) লোকেরা, ওরা ইন্ধন সংযোগ করে তার (অগ্নিকুণ্ডের) পাশে বসে থাকত এবং দেখত বিশ্বাসীদের ওপর তারা যে অত্যাচার করত। ওরা তাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছিল শুধু এই কারণে যে তারা বিশ্বাস করত পরম শক্তিমান, পরম প্রশংসনীয় আল্লাহর, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আর আল্লাহ তো সর্ব বিষয়ে স্রষ্টা। যারা বিশ্বাসী নরনারীকে নির্যাতন করেছে ও তারপর তওবা করেনি, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি আর দহন যন্ত্রণা।’ (সুরা বুরুজ, আয়াত: ৪-১০)

আরও পড়ুননবী–রাসুলদের সংগ্রামের চিত্র আছে সুরা ইব্রাহিমে১৪ অক্টোবর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

দোয়া অনুষ্ঠানে রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দেশের মানুষের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি ক্রান্তিলগ্নেও দেশ ছেড়ে যাননি। উনার এক ছেলে যখন মারা যান এবং আরেক ছেলে জেল হাজতে, তখন তাকে বিদেশে চলে যেতে বলা হয়েছে কিন্তু তিনি যাননি। ফ্যাসিস্ট আমলে তাকে সামান্য সম্মানটুকুও দেওয়া হয়নি। আল্লাহর কি কুদরত, তাকে এখন ভিভিআইপি পারসন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দলমত নির্বিশেষে সকলে বুঝতে পেরেছে, তাকে এখন কতটা প্রয়োজন। আমরা তার জন্য আল্লাহর কাছে প্রাণ খুলে দোয়া চাই।’’  

আরো পড়ুন:

চবি ক্যাম্পাসে ভুয়া শিক্ষার্থী আটক

বেরোবিতে শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল নেত্রীর মামলার হুমকি

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাইন উদ্দীন বলেন, ‘‘একটা দেশ, একটা জাতিকে যদি শেষ করতে হয়; তাহলে ওই জাতির লিডারশিপ শেষ করে দিলে জাতি পঙ্গু হয়ে যায়। বর্তমানে দেশে এমন একটা নেতৃত্ব দরকার, যেখানে জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে। বেগম খালেদা জিয়া সেরকম একজন মানুষ। এ জাতি ওনাকে একজন কমন নেতৃত্ব হিসেবে মানে, উনি যদি দাঁড়ান তাহলে জাতি ওনার পিছনে দাঁড়িয়ে যান। এমন একজন নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। পুরো দেশ তার জন্য দোয়া করছে। আমরাও দোয়া করব, আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেন।’’   

সভাপতির বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন,  ‘‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মহান আল্লাহ যেন সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। বেগম জিয়ার এই সংকটময় সময়ে শিশু থেকে শুরু করে সবাই তার জন্য দোয়া করছে এবং অনেকে তার সুস্থতার জন্য রোজা রেখেছেন ও দান-সদকা করে যাচ্ছেন।’’  

দোয়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফরিদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 
 

ঢাকা/ফাহিম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোনো স্কুলে তালা ভেঙে, কোথাও পুলিশ পাহারায় পরীক্ষা
  • দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, সড়কে ছিটকে পড়তেই বাসচাপায় প্রাণ গেল দুজনের
  • বার্ষিক পরীক্ষায় স্কুলে ‘শাটডাউন’: আলোচনা করে পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি বাড়বে
  • হাসলে কি অজু ভেঙে যায়
  • সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তান
  • অবকাঠামো বৈষম্য ও প্রবেশাধিকার সমতা 
  • ইচ্ছা না থাকলেও ১৫ বছর পর যে টুর্নামেন্টে খেলবেন কোহলি
  • সব খাবারে কি কারও অ্যালার্জি হতে পারে?
  • আসিম মুনির: পাকিস্তানের নতুন ‘সুলতান’
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া