Prothomalo:
2025-12-03@01:13:55 GMT

বুদ্ধিমান এক বালকের ঘটনা

Published: 14th, January 2025 GMT

সাহাবি সুহাইব রুমি (রা.)–এর বরাতে একটি হাদিস পাওয়া যায়। তিনি রাসুল (সা.)–এর কাছ থেকে নিচের কাহিনিটি শুনেছেন।

এক বাদশাহর দরবারে একজন জাদুকর ছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় এক সময় তিনি বুড়ো হলেন। তখন বাদশাহকে গিয়ে বললেন, আমাকে একজন বুদ্ধিমান বালক এনে দিন। আমি তাকে এই বিদ্যাটি শিখিয়ে দেব।’

বাদশাহ একটি বুদ্ধিমান বালককে জাদুকরের কাছে তুলে দিলেন। বালকটি যে পথে জাদুকরের কাছে যেত, সে পথে একজন পাদরির বাড়িও ছিল। আসা-যাওয়ার পথে বালকটি পাদরির কাছে গিয়ে বসত। তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। পাদরির প্রতি ধীরে ধীরে বালকটির মুগ্ধতা তৈরি হলো।

একদিন বালকটির যাওয়ার পথে এক বড় জন্তু বসে ছিল। যাওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। বালকটি ভাবল, এটা জাদুকরি নাকি সত্য, তা পরীক্ষা করে দেখার এটিই উপযুক্ত সময়। সে একটি পাথরের টুকরা কুড়িয়ে নিয়ে বলল, ‘হে আল্লাহ, যদি পাদরির আমল তোমার কাছে জাদুকরের আমলের চেয়ে ভালো এবং পছন্দের বলে মনে হয়, তাহলে এই জন্তুকে মেরে ফেল, যাতে মানুষের যাতায়াতের পথটি খুলে যায়।’ এই বলে বালকটি পাথর ছুড়লে জন্তুটি মারা গেল।

আরও পড়ুনফজরের নামাজে জেগে ওঠার কৌশল১৫ অক্টোবর ২০২৩

বালক এবার পাদরির কাছে এসে সব খুলে বলল। পাদরি বললেন, ‘বাবা, এবার তুমি জ্ঞানের পূর্ণতায় পৌঁছে গেছ। তোমার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই পরীক্ষায় কোনোভাবেই আমার নাম প্রকাশ করবে না।’ সেই বালকটিকে আল্লাহ অলৌকিক ক্ষমতা দিলেন। সে অন্ধ ও কুষ্ঠরোগে আক্রান্তসহ বহু রোগীর জন্য দোয়া করতে লাগল। তারাও সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। তবে কেবল যারা খ্রিষ্টধর্মে ঈমান আনত, তারাই তার দোয়ায় উপকার পেত। একদিন বাদশাহর এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির চোখের অন্ধত্বও তার দোয়ায় সেরে গেল।   তার অলৌকিক ক্ষমতার খবর ইহুদি বাদশাহর কানে গেলে তিনি বিচলিত হয়ে পড়লেন। বালকটির ধর্মে ইমান আনা কিছু লোককে বাদশাহর আদেশে হত্যা করা হলো। বালকটিকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েকজন লোককে ডেকে তিনি বললেন, ‘ওকে এউ উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দাও।’

আরও পড়ুনযে কারণে রিজিক কমে যায় ১৪ অক্টোবর ২০২৩

বালক আল্লাহর কাছে দোয়া করলে পাহাড় কাঁপতে লাগল। ফলে সে ছাড়া সবাই পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেল। এবার বাদশাহ তাকে অন্য একদল লোকের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘একে একটি নৌকায় চড়িয়ে সমুদ্রে নিয়ে ডুবিয়ে দাও।’ সেখানেও বালকের দোয়ায় নৌকা উল্টে গেল। ফলে সবাই পানিতে ডুবে মারা গেল। কিন্তু বালকটি বেঁচে গেল।   এবার সেই বালক বাদশাহকে বলল, ‘আপনি যদি আমাকে হত্যা করতেই চান, তাহলে এর সঠিক পদ্ধতি হলো একটি খোলা ময়দানে মানুষ জমায়েত করুন। এরপর বালকের রবের নামে “বিসমিল্লাহি রাব্বিল গোলাম” বলে শুরু করছি—এই কথা বলে আমার গায়ে তির ছুড়ুন। তাহলে আমি মারা যাব।’   বাদশাহ তা-ই করলেন। বালকটি মারা গেল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত লোকজন সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমরা এই বালকের রবের প্রতি ইমান আনলাম।’  বাদশাহ এবার আরও বেশি বিচলিত হয়ে পড়লেন। তিনি তাদের জন্য গর্ত খুঁড়ে তাতে আগুন জ্বালানোর আদেশ দিলেন। এরপর বললেন, ‘যারা যারা এই বালকের ধর্ম থেকে ফিরে না আসবে, তাদের এই গর্তে ফেলে দাও।’ একে একে সব ইমানদার এগিয়ে এসে সেই গর্তে লাফ দিল। শেষে এল একটি নারীর পালা। তাঁর সঙ্গে একটি শিশুও ছিল। তিনি একটু ইতস্তত করলে শিশুটি বলে উঠল, ‘মা, ধৈর্য ধরুন। আপনি সত্যের ওপর আছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩,০০৫)  

আরও পড়ুনআজান কেমন করে এল ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে পবিত্র কোরআনের সুরা বুরুজে আল্লাহ বলেছেন, ‘অভিশপ্ত হয়েছিল (অগ্নিকুণ্ডের) লোকেরা, ওরা ইন্ধন সংযোগ করে তার (অগ্নিকুণ্ডের) পাশে বসে থাকত এবং দেখত বিশ্বাসীদের ওপর তারা যে অত্যাচার করত। ওরা তাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছিল শুধু এই কারণে যে তারা বিশ্বাস করত পরম শক্তিমান, পরম প্রশংসনীয় আল্লাহর, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আর আল্লাহ তো সর্ব বিষয়ে স্রষ্টা। যারা বিশ্বাসী নরনারীকে নির্যাতন করেছে ও তারপর তওবা করেনি, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি আর দহন যন্ত্রণা।’ (সুরা বুরুজ, আয়াত: ৪-১০)

আরও পড়ুননবী–রাসুলদের সংগ্রামের চিত্র আছে সুরা ইব্রাহিমে১৪ অক্টোবর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘সালাতুল হাজাত’ নামাজে যে দোয়া পড়বেন

ইসলামে মানুষের যেকোনো বৈধ প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার পদ্ধতি অত্যন্ত সরল ও সুস্পষ্ট। এটি কোনো নির্দিষ্ট ধরনের নামাজের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্য, বিশ্বাস ও মনোযোগের ওপর।

প্রয়োজন পূরণের জন্য কিছু সাধারণ আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত, যার মধ্যে একটি হলো নামাজ পড়া। এই নামাজকে বলে ‘সালাতুল হাজাত’ বা প্রয়োজন পূরণের নামাজ।

হাদিসের বর্ণনা

বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, অতঃপর দুই রাকাত নামাজ পূর্ণভাবে আদায় করে, আল্লাহ তাকে তার চাওয়া জিনিস দ্রুত অথবা বিলম্বে দান করেন।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬৯০০)

অর্থাৎ, সে যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত হয় (অর্থাৎ, হালাল পথে থাকে ও আনুগত্যশীল হয়), তবে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন। এ ক্ষেত্রে এই সাধারণ আমলের ওপর নির্ভর করাই উত্তম।

নবীজি (সা.) একজন অন্ধ সাহাবীকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট দোয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন, যা সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। তবে প্রয়োজন পূরণের জন্য নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা বা নির্দিষ্ট দোয়ার বিষয়ে যেসব বর্ণনা এসেছে, তার অধিকাংশই সহীহ নয়।

মূল বিষয় হলো, নির্দিষ্ট কোনো প্রকার বা সংখ্যার নামাজের ওপর নির্ভর না করে, একজন মুসলিমকে আল্লাহর পক্ষ থেকে দোয়া কবুল হওয়ার যোগ্য হতে হবে। আর তা সম্ভব হয় আল্লাহর আনুগত্যে অটল থাকা এবং পাপ কাজ বর্জন করার মাধ্যমে।

আরও পড়ুনসালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম১১ আগস্ট ২০২৫প্রয়োজন পূরণের দুটি প্রধান মাধ্যম

শায়খ আতিয়্যাহ সকর (রহ.) বলেছেন, বিশেষত জাগতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য দুটি মাধ্যম রয়েছে:

১. আল্লাহর আনুগত্য ও সৎকর্ম: আল্লাহর আদেশ পালন এবং তাঁর নিষেধগুলো বর্জন করাই হলো তাকওয়া (আল্লাহভীতি)। এই তাকওয়াই নিজে নিজেই কল্যাণের চাবিকাঠি। আল্লাহ বলেন, “আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য (সংকট থেকে) বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেন। আর তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” (সুরা ত্বালাক, আয়াত: ২-৩)

“যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি অবশ্যই আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ তাদের ওপর উন্মুক্ত করে দিতাম।” (সুরা আরাফ, আয়াত: ৯৬)

হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি কোনো অভাবগ্রস্তের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সহজ করে দেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে, আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার সাহায্যে থাকেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৯৯)

হাদিসে বর্ণিত গুহার সেই তিন ব্যক্তির ঘটনা এর উত্তম দৃষ্টান্ত, যারা নিজেদের সৎকাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া করে পর্বত-শিলার মুখ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

২. দোয়ার শর্ত ও আদব: দোয়ার দ্বিতীয় মাধ্যম হলো— দোয়ার সকল শর্ত ও আদব পালন করা, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একাগ্রতা (খুশু), আন্তরিকতা (ইখলাস) এবং হারাম উপার্জন থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ বলেছেন, “আর তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের জন্য তা কবুল করব।” (সুরা গাফির, আয়াত: ৬০)

“আর যখন আমার বান্দারা আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন (তাদের বলুন যে) আমি তো নিকটেই। যখন কোনো আহবানকারী আমাকে ডাকে, তখন আমি তার আহবানে সাড়া দিই।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)

দোয়া অবশ্যই বিনয় ও মনোযোগ সহকারে করতে হবে, কারণ নামাজ ও দোয়ার ফলাফল এর সাথে সম্পর্কিত। আল্লাহ পূর্ববর্তী নবীগণ—আইয়ুব, যুন নুন এবং জাকারিয়া (আ.)-এর দোয়া কবুলের পর বলেন, “নিশ্চয় তারা কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগিতা করত। আর তারা আশা ও ভয়ের সাথে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী (খাশেঈন)।” (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৯০)

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। হাদিসে এসেছে, “তোমাদের কারও দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয়, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৭১৪৫; আবু দাউদ, হাদিস: ১৪৮৪; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৭৩)

তা ছাড়া এটি নিশ্চিত যে, হারাম উপার্জনের এক লোকমা পেটে থাকলে দোয়া কবুল হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

আরও পড়ুননামাজ যেভাবে শারীরিক–মানসিক সুস্থতা বাড়ায়১৪ আগস্ট ২০২৫নির্দিষ্ট দোয়া

একটি নির্দিষ্ট দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে। একজন অন্ধ ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দোয়া চেয়েছিলেন। তখন নবীজি (সা.) তাকে উত্তমরূপে ওযু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর এই দোয়াটি পড়তে শিখিয়েছিলেন:

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ওয়া আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যির রাহমাতি। ইয়া মুহাম্মাদু ইন্নি ক্বাদ তাওয়াজ্জাহতু বিকা ইলা রব্বী ফী হা-জাতী হা-যিহী লিতুক্বদা-লী। আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিইয়্যা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকে মনোনিবেশ করি আপনার নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর মাধ্যমে, যিনি দয়ার নবী। হে মুহাম্মাদ, আমি আমার এই প্রয়োজনের জন্য আপনার মাধ্যমে আমার রবের দিকে মনোনিবেশ করেছি, যেন তা পূর্ণ হয়। হে আল্লাহ, আমার জন্য তাঁর সুপারিশ কবুল করুন।”

ওই ব্যক্তি ফিরে এসে দেখেন, আল্লাহ তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই হাদিসটি ইমাম তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ প্রমুখ বর্ণনা করেছেন এবং ‘সহিহ’ বলেছেন।। উসমান ইবনে হুনাইফ (রা.) এই দোয়াটি উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর কাছে প্রয়োজন থাকা এক ব্যক্তিকে শিখিয়েছিলেন এবং সেই ব্যক্তিরও প্রয়োজন পূর্ণ হয়েছিল।

দুই রাকাত নামাজের পর, আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি দরূদ পাঠের পর আরও একটি দোয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়:

উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল হা'লীমুল কারীম। সুবহা'-নাল্লা-হি রব্বিল ‘আ'রশিল ‘আ'যীম। আ'লহা'মদু লিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন। আস্‌আলুকা মূজিবা-তি রহ'মাতিক, ওয়া ‘আ'যা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গনীমাতা মিন কুল্লি বিররিন, ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন। লা- তাদা' লী যাম্বান ইল্লা- গফারতাহু, ওয়ালা- হাম্মান ইল্লা- ফাররাজতাহু, ওয়ালা- হা-জাতান হিয়া লাকা রিদ্বা-ন ইল্লা- ক্বদ্বাইতাহা- ইয়া আরহা'মার র-হি'মীন।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি সহনশীল ও মহান। পবিত্র আল্লাহ, যিনি মহান আরশের রব। সকল প্রশংসা জগতসমূহের রব আল্লাহর জন্য। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার রহমতের কারণগুলো, আপনার ক্ষমার দৃঢ় সংকল্পগুলো, সকল প্রকার নেক আমলের লাভ এবং সকল পাপ থেকে মুক্তি। আপনি আমার কোনো পাপ ক্ষমা না করে ছেড়ে দেবেন না, কোনো দুশ্চিন্তা দূর না করে ছেড়ে দেবেন না, এবং আপনার সন্তুষ্টি হয় এমন কোনো প্রয়োজন পূরণ না করে ছেড়ে দেবেন না, হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান।

যদিও এই দোয়াটি উত্তম, তবে এটিকে নবী (সা.)-এর সাথে নির্দিষ্টভাবে সম্পর্কিত করার বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। অন্যান্য বিশুদ্ধ দোয়া হাদীসের কিতাবে পাওয়া যেতে পারে।

দোয়া কখন করবেন

দোয়া সসিজদায় উত্তম। হাদিসে বর্ণিত আছে, “বান্দা তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় যখন সে সসিজদায় থাকে। অতএব তোমরা সেজদায় বেশি বেশি দোয়া করো।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৮২)

আরেকটি হাদিসে আছে, “রুকুতে তোমরা রবের মহিমা বর্ণনা করো এবং সিজদায় খুব দোয়া করো, তাহলে তোমাদের দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত হবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৭৯)

একজন মুসলিমকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, সে তার রবের ইবাদত ও তাঁর কাছে চাওয়া-পাওয়ার কাজগুলো শরীয়তের অনুমোদিত পথেই করছে। আল্লাহকে কেবলমাত্র সেইভাবেই ডাকা উচিত, যা কোরআন ও সহিহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। আর এই প্রমাণিত পথেই অসংখ্য বরকত নিহিত আছে।

আরও পড়ুন‘হে আমার সন্তান, নামাজ কায়েম করো’১৭ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া
  • মুসলিম সভ্যতায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া
  • মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ আহত ১৫
  • শিবচরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫
  • মাধ্যমিকে কর্মবিরতি, বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি
  • ইমরান খানকে কি ভুট্টোর পরিণতি বরণ করতে হচ্ছে
  • তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন
  • কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো বুক অলিম্পিয়াড
  • কেমন ছিলেন সাহাবি যুগের নারীরা
  • ‘সালাতুল হাজাত’ নামাজে যে দোয়া পড়বেন