কিশোরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
Published: 14th, January 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক নেতা নিহতের ঘটনার দুই দিন পর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ মঙ্গলবার নিহত আবুল হাসান ওরফে রতনের (৫৫) ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অজিফা খাতুন ১৩ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় প্রতিপক্ষ রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মো.
রোববার বেলা ১১টার দিকে তাড়াইলের রাউতি ইউনিয়নের বানাইল বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মারা যান রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান। আবুল হাসান স্থানীয় বানাইল গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে।
তাড়াইল থানার পরিদর্শক মো. শ্যামল মিয়া বলেন, আজ নিহত ব্যক্তির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়াকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিআইটি গঠনের দাবিতে সড়ক অবরোধ
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের এক দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রহমতপুর বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-জামালপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের রহমতপুর বাইপাস মোড়ে যানজট তৈরি হয়। মানুষের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন মোল্লার ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের পক্ষে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। উপদেষ্টার সঙ্গে আগামী সোমবারের আগে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে চান তারা। যদি উপদেষ্টা সোমবারের মধ্যে আলোচনায় না বসেন, তাহলে মঙ্গলবার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলনে পুলিশ-সেনাবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করা হবে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকারের আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ধ্রুবজিৎ চলমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে তাঁর আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মে থেকে একাডেমিক কম্বাইন্ড সিস্টেম বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিভিল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালমানুর রহমান সাব্বির জানান, কলেজটির সমস্যার মূলে তীব্র শিক্ষক সংকট। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ, প্রতিটি বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক এবং দু’জন প্রভাষক থাকার কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কোনো স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।