‘‘ক্রিকেটাররা অনেকটা... (আশ্বস্ত হয়েছেন টাকা পাওয়ার ব্যাপারে)। কালকে তারা অনুশীলনেও যাবেন। এর চেয়ে ইতিবাচক আর কী হতে পারে। হোপফুলি কালকে পাবেন টাকা। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। এজন্যই ইতিবাচক ভাইব আছে বলেই আমি আপনাদের সামনে কথা বলতে এসেছি।’’
দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক জটিলতা নিয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কথাগুলো বলছিলেন বিসিবির পরিচালক মনজুর আলম। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের মুখপাত্র হিসেবে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
মনজুর আলম যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন হোটেলে থাকা ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বৃহস্পতিবারও তারা বিপিএলের পারিশ্রমিক পাবেন কি না। একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে, পারিশ্রমিক দেওয়ার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তাতেও বিশ্বাস হচ্ছে না তাদের।
আরো পড়ুন:
তীরে এসে ডুবলো খুলনা, রংপুরের রোমাঞ্চকর জয়
খুশদীল ঝড়ে রংপুরের স্কোরবোর্ডে ‘হাসি’
দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বুধবারের অনুশীলন বাতিল করে সারাদিন হোটেলে কাটিয়েছেন। তাদের অনেককেই চেক দেওয়া হলে, তা বাউন্স হয়ে ফেরত আসায় ‘প্রতারিত’ অনুভব করছেন ক্রিকেটাররা। শুধু পারিশ্রমিকই নয়, খেলোয়াড়রা দৈনিক ভাতাও পাচ্ছেন না ১০ দিন।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, খেলোয়াড়রা শুক্রবারের ম্যাচ বয়কটেরও হুমকি দিয়েছে। এমন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে উড়ে আসেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সন্ধ্যায় দুর্বার রাজশাহীর মালিক, অফিসিয়ালদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক ক্রিকেটার।
ক্রিকেটাররা সভাপতিকে সাফ জানান, পারিশ্রমিক ছাড়া তারা মাঠে নামবেন না। সভাপতি এরপর মালিকের সঙ্গে একান্তে কথা বলে ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করেন, বৃহস্পতিবারই পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন। কিন্তু তাতেও মন গলেনি ক্রিকেটারদের। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় দলের সঙ্গে নেই। কাল যোগ দেবেন। সেখানে এক সিনিয়র ক্রিকেটার পরিস্থিতি সামলে আগামীকাল সকাল ১০টায় অনুশীলনে ফিরতে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু আগামীকালও টাকা না পেলে শুক্রবার ম্যাচ খেলবেন কি না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
বিসিবি পরিচালক মনজুর আলমের কথায় সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল, ‘‘আশা করছি কালকের মধ্যে আমরা একটা সুন্দর সমাধানে আসতে পারব। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট মহোদয় চেষ্টা করছেন টিম অফিসিয়াল, টিম মালিক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে একটা সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসতে। সমঝোতা এখনও প্রক্রিয়াধীন। আশা করি কালকের মধ্যে একটা ভালো ফল আসবে। অধিনায়ক ও আরো কয়েকজনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মহোদয় কথা বলেছেন। আমার মনে হয়, সেটিও ভালো সমাধানের পথে।’’
ফারুক আহমেদ সশরীরে চট্টগ্রামে হাজির হলেও দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিক রহমান ছিলেন না। তিনি দেশের বাইরে আছে। কাল ফিরবেন বলে খবর। রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ইস্যুটি সভাপতি নিজ থেকে তদারকি করবেন, বলেছেন মনজুর আলম।
‘‘প্রায় সমাধান হয়ে গেছে বলা যায়। কালকে মালিক এলে প্রেসিডেন্ট কথা বলে বাকিটা সমাধান হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট মহোদয় নিজের এখতিয়ারে রেখেছেন। কালকে সমাধানের পর সেটি আরও বিস্তারিত ব্রিফ করবেন তিনি।’’
খেলোয়াড়দের ম্যাচ বয়কটের বিষয়ে বিসিবির পরিচালকের দাবি, ‘‘কারও পক্ষ থেকে নেতিবাচক কোনো (ম্যাচ বয়কট) এটিটিউড আমরা দেখতে পাইনি।’’
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৩ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়ার কথা ছিল বিসিবির। শুরুতে যা ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তা কমিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। অনেকগুলো দল ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই মাঠে নেমেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে দুর্বার রাজশাহী।
বোর্ড ছাড় দেওয়া এমনটা হয়েছে। বোর্ড বর্তমান পরিস্থিতিতে বিব্রত তা বলতে দ্বিধা করলেন না মনজুর আলম, ‘‘আসলে একটু বিব্রতকর।’’
অনিয়ম, অগোছালো আয়োজন মিলিয়ে বিপিএল। সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ দায়িত্ব পাওয়ার পর সেই আয়োজন পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো আশ্বাসেই কাজ হচ্ছে না। বিপিএল এখনও অপরিবর্তিত।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ক আহম দ পর স থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
কারিশমার সঙ্গে অক্ষয় খান্নার বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। রণবীর সিং অভিনীত এ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দাপুটে অভিনেতা অক্ষয় খান্না। তার পারফরম্যান্স বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই অভিনেতা।
পঞ্চাশ বছরের অক্ষয় খান্না ব্যক্তিগত জীবনে এখনো অবিবাহিত। তবে রুপালি জগতে কাজ করতে গিয়ে বলিউডের তারকা অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। এ তালিকায় রয়েছেন—কারিশমা কাপুর, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, তারা শর্মা, ঊর্বশী শর্মা প্রমুখ। যদিও কখনো প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি অক্ষয় খান্না।
আরো পড়ুন:
পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা
ফিরেই ভক্তদের ঘুম উড়ালেন কিয়ারা
সম্পর্কের কথা স্বীকার না করলেও কারিশমা কাপুরের সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক বহুদূর এগিয়েছিল। কেবল তাই নয়, তাদের বিয়েও প্রায় ঠিক হয়েছিল। সর্বশেষ সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কিন্তু কেন ভেঙেছিল অক্ষয়-কারিশমার বিয়ে?
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নব্বই দশকে কারিশমা ও অক্ষয় খান্না একসঙ্গে একটি ফটোশুট করেছিলেন। তারপর তারা ডেট শুরু করেন। কারিশমা তখন সদ্যই অজয় দেবগনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। ফলে অক্ষয়ের কাছে মানসিক শান্তি খুঁজে পান।
অক্ষয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কে খুশি ছিলেন কারিশমার বাবা রণধীর কাপুরও। কেবল তাই নয়, অক্ষয়ের বাবা বিনোদ খান্নার কাছে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের সবকিছু প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কারিশমার মা ববিতা কাপুর বিয়েতে বাধা দেন। তখন কারিশমার ক্যারিয়ার শিখরে ছিল। ববিতা চাইতেন, মেয়ে ক্যারিয়ারে মনোযোগী হোক। পাশাপাশি অক্ষয়ের ক্যারিয়ার গ্রাফ নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না কারিশমার মা।
অক্ষয়ের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে ভাঙার পর কারিশমা বিয়ে করেছিলেন। সেই সংসারও ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু অক্ষয় কখনো বিয়ে করেননি। কেন বিয়ে করেননি এ নিয়ে ২০১২ সালের শুরুতে বলিউড হাঙ্গামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ‘বর্ডার’ তারকা। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি বিয়েতে বিশ্বাস করেন? জবাবে অক্ষয় খান্না বলেন, “অবশ্যই বিশ্বাস করি।”
এরপর বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে অক্ষয় খান্না বলেন, “আমি কারো দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি না। বিয়ে মানেই স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া। স্ত্রী ও পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমি কারো দায়িত্ব নিতে চাই না। একা জীবনে আমি ভালো আছি। আমার কোনো দায়িত্ব নেই। আমার দায়িত্ব নেওয়ারও কেউ নেই।”
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জার্নিটা অসাধারণ। এ তথ্য উল্লেখ করে অক্ষয় খান্না বলেন, “আমার জন্য চিন্তা করার কেউ নেই। আমাকে নিজের জন্য কেবল চিন্তা করতে হবে। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা অসাধারণ একটা জার্নি। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা!”
নব্বই দশকের শেষ লগ্নে বলিউডে পা রাখেন অভিনেতা অক্ষয় খান্না। ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘হাঙ্গামা’, ‘রেস’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
ঢাকা/শান্ত