Samakal:
2025-10-16@13:56:52 GMT

ঘুমের মধ্যে পায়ের নড়াচড়া

Published: 13th, July 2025 GMT

ঘুমের মধ্যে পায়ের নড়াচড়া

অনেকেই আছেন, ঘুমাতে গেলেই পায়ে চুলকানি বা পিন ফোটানো বা পায়ে কোনো কিছু হাঁটছে বলে অনুভূত করেন। ফলে বারবার পা চুলকাতে, নাড়াচড়া করতে থাকেন। ঘুমে চোখ একটু বন্ধ হয়ে এলেই আবার শুরু হয় একই অনুভূতি। ঘুম থেকে জেগে আবার শুরু হয় পা ঝাড়ামোছা। এমন করতে করতেই কারও কারও রাত কেটে যায়। কারও আবার এসব লক্ষণ অল্প অনুভূত হয়।

সাধারণত রাতে ঘুমাতে গেলে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটিকে বলে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। এটি এক ধরনের  স্নায়ুরোগ। ঘুমের সমস্যাজনিত রোগও বলা যেতে পারে। সাধারণত মাঝবয়সীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এর মধ্যে নারীরা বেশি আক্রান্ত হন। 

কী কারণে এ রোগ দেখা দেয়, তার কারণ জানা যায়নি। এ রোগে আক্রান্তের অর্ধেকেরই পরিবারে কেউ না কেউ একই সমস্যায় ভোগেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কারণে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে বা এ রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন– আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, পারকিনসন ডিজিজ, পেরিফেরা নিউরোপ্যাথি রোগ ইত্যাদি। কিছু ওষুধ, যেমন– বমির ওষুধ, মানসিক অবসাদের ওষুধ, ঠান্ডা-কাশির ওষুধ সেবনেও এমন হতে পারে। ওষুধ বন্ধ করে দিলে এ সমস্যার সমাধান হয়। কারও কারও গর্ভধারণের শেষ তিন মাসে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে প্রসবের এক মাসের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায়। মদপানেও হতে পারে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। যদি এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। 

শুরুতে ওষুধ সেবনে না গিয়ে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন, যেমন– নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস, চা-কফি ও ধূমপান-মদপান পরিহার করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পায়ের ম্যাসাজ করা, পায়ে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যেতে পারে।

অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তাদের স্ট্রেসমুক্ত জীবনে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। দেখা গেছে, মানসিক সমস্যা কেটে গেলে অনেকের এ ধরনের অসুবিধা কেটে যায়। এ রোগের বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। 

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস)

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

সৌম্য, মাহিদুল কেন দলে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে যে পরিবর্তন আসবে, তা অনুমান করা যাচ্ছিল আগে থেকেই। প্রত্যাশিতভাবেই দুটি পরিবর্তন এনে আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকেরা।

গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আবার ওয়ানডে দলে ফেরানো হয়েছে সৌম্য সরকারকে। দলে নতুন মুখ প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া মাহিদুল ইসলাম। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছে মাহিদুলের, জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ওই একটি ম্যাচই। সৌম্য ও মাহিদুলকে জায়গা দিতে ছিটকে গেছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও পেসার নাহিদ রানা।

একবার দলে আসা, আবার দল থেকে বাদ পড়াটা সৌম্যের জন্য এখন নিয়মিতই হয়ে গেছে। তাঁদে দলে ফেরানোর ব্যাখ্যায় বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ বলেছেন, ‘তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। প্রায় ৮০টির (৭৬টি) মতো ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন, প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছেন। গত বছরের নভেম্বরের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তাঁর ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সফলতা ছিল। সেই দলটার সঙ্গেই আমরা আবার খেলছি। লিটন দাস যেহেতু দলে নেই, একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সৌম্য সরকারকে নিয়েছি।’

গত বছর একটি টেস্ট খেলা মাহিদুল এর আগে টি–টোয়েন্টি দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলা হয়নি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৯৬ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে ৩৪২৯ রান তাঁর। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে প্রায় ৪৮ গড়ে রান করেছিলেন ৪৩১। গত মে মাসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের সর্বশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরিও করেছিলেন মাহিদুল।

তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘দলের মিডল অর্ডারের প্রায় সবাই রানখরায় আছে। তো সেই জায়গায় আমরা মাহিদুলকে এনেছি। পরের বিশ্বকাপের জন্য কলেবর বৃদ্ধি করতে যাঁরা সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেন, তার মধ্য থেকে মাহিদুল ইসলামের নামটা নিশ্চয়ই অনেক উজ্জ্বল।’

আরও পড়ুনওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা, প্রথমবার ডাক পেলেন মাহিদুল৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ