চার প্রতিষ্ঠানের নামে ৯১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রন হক শিকদার এবং দেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা থেকে ৪৯০ কোটি ঋণ নেওয়ার পর তা আত্মাসাৎ করা হয়েছে। মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে আত্মাসাৎ করা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রকৃতি অ্যাসোসিয়েট ও দ্য ভিউ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের নামে ১২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মাসাৎ করা হয়েছে।

দুদক সূত্র বলছে, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের মামলায় ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মনোয়ারা শিকদার, পারভীন শিকদার এবং দেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও হাসান টেলিকম লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার আরিফ হাসানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা রয়েছেন।

মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের নামে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মাসাতের মামলায় ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রন হক শিকদার, রিক হক শিকদারসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা ন্যাশনাল ব্যাংক ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।

এ ছাড়া প্রকৃতি অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের নামে ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা থেকে ৮০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ১৪ জনকে এবং দ্য ভিউ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের নামে কুয়াকাটা শাখা থেকে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চার পরিচালক, দেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের কোনো কোনো কর্মকর্তাকে এই মামলাগুলোয় একাধিকবার আসামি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ৎ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের সময় বেঁধে দিয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডাকসু, বিকেলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ডাকসু। সমাবেশ থেকে ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তার করে বিচার কার্যকর করতে হবে।’

ডাকসুর এজিএস আরও বলেন, ‘যারা এ ধরনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তাদের যদি এই সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাহলে এই সরকার জনতার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রমাণিত হবে।’

ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করতে চাই—যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করা না হয় এবং এর পেছনের রাঘববোয়ালদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে বাংলাদেশে দাবানল জ্বলবে।’

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে সংগঠনের আহ্বায়ক রিয়াদুস জুবাহ ওসমান বলেন, ‘এই হামলার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা এ ঘটনার নেপথ্যের পরিকল্পনাকারী, সেই মাস্টারমাইন্ডদেরও দৃশ্যমান আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই এখন একমাত্র পথ।’

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বিকেলে ছাত্রদল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শিববাড়ি ও জগন্নাথ হল এলাকা ঘুরে আবার জরুরি বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নেতা–কর্মীরা ‘হাদিকে গুলি কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘হাদির ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ছাত্রদলের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ছাত্রদলের নেতারা ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ