হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এপির মামলা
Published: 22nd, February 2025 GMT
হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনের একটি ফেডারেল আদালতে মামলাটি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা পাওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নিল সংবাদ সংস্থাটি।
এপির মামলায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করা হয়েছে। দেশটির সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর ‘মেক্সিকো উপসাগরের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। ওই আদেশ অনুসরণ করতে অস্বীকৃতি জানায় এপি। এরপর ১০ দিন আগে থেকে তাদের সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানেও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এপির প্রতিবেদকদের।
মামলায় নাম আসা তিনজন হলেন হোয়াইট হাউসের প্রধান কর্মকর্তা সুসান ওয়াইলস, উপপ্রধান কর্মকর্তা টেইলর বুদোউইচ ও প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট। গতকাল ওয়াশিংটনে এক সম্মেলনে লেভিট বলেন, ‘আমরা মনে করি আমরা সঠিক দিকেই আছি। হোয়াইট হাউসে প্রতিদিন যেন সত্য ও নির্ভুলতা বিদ্যমান থাকে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’
এদিকে নিজেদের নীতিমালায় এপি উল্লেখ করেছে—মেক্সিকো উপসাগর নামটি ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই উপসাগরের নতুন যে নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন, সেটি মেনে নেওয়ার পাশাপাশি উপসাগরটির আসল নামই ব্যবহার করবে এপি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নায়ক রুবেলের অজানা তথ্য
বাংলা চলচ্চিত্রের মার্শাল আর্ট কিং মাসুম পারভেজ রুবেল। পর্দায় কুংফু-কারাতের দুর্দান্ত কৌশল দেখিয়ে এনে দিয়েছেন নতুন ধারার অ্যাকশন সিনেমা। আজ ৩ মে, এই অ্যাকশন হিরোর জন্মদিনে চলুন এক নজরে জেনে নিই তার জীবনের অজানা গল্পগুলো।
ক্যারিয়ারের সূচনা ও উত্থান : ১৯৮৬ সালে ‘লড়াকু’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় আড়াইশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার প্রায় সবই সুপারহিট। শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও সমান সফল। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিচ্ছু বাহিনী’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘প্রবেশ নিষেধ’।
মার্শাল আর্ট ও অ্যাকশন কিং : রুবেল দুইবার জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করেছেন। তিনি গড়েছেন নিজস্ব ফাইটিং গ্রুপ ‘দ্যা একশন ওয়ারিয়র্স’ এবং জনপ্রিয় করেছেন ‘ড্রাংকিং কংফু’, ‘উইপিং কংফু’সহ মার্শাল আর্ট কৌশল। তার হাত ধরেই বাংলা সিনেমায় অ্যাকশনের ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়।
গিনেস বুকে নাম লেখানোর স্বপ্ন : এখন পর্যন্ত ৯৭ জন নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন রুবেল। শিগগিরই এই সংখ্যা ১০০ পূর্ণ করে গিনেস বুকে নাম তোলার ইচ্ছা তার।
সহশিল্পী ও প্রিয় নায়িকারা : সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন পপি, মৌসুমী ও পূর্ণিমার সঙ্গে কাজ করতে। তবে তার ভাষায়, "স্পেশাল পপি। তার আগে ছিলো কবিতা।"
অভিনয়ের আগে প্লেব্যাক শিল্পী : নায়ক রুবেল ক্যারিয়ার শুরু করেন প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে। ‘জীবন নৌকা’ সিনেমায় বড় ভাই সোহেল রানার জন্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
জাতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবেও সফল : ব্যাডমিন্টন, ফুটবল ও কারাতে— এই তিন খেলাতেই জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন রুবেল।
পারিবারিক জীবন ও সামাজিক ভূমিকা : রুবেলের স্ত্রী সুলতানা পারভেজ নীলা, একমাত্র পুত্র নিলয় পারভেজ। ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি সমাজ সচেতনতায়ও ভূমিকা রাখেন। নারীদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে শেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "ধর্ষণ থেকে বাঁচতে নারীদের কারাতে শেখা উচিত। স্কুল-কলেজে কারাতে শিক্ষা নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।"
পুরস্কার ও সম্মাননা : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মনোনয়ন না পেলেও দুইবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন — ২০০০ ও ২০০১ সালে।
শৈশব ও পারিবারিক পটভূমি : ১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদীতে জন্ম। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা এই তারকার পিতা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। শৈশবেই সংস্কৃতিমনস্ক রুবেল অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আত্মীয়-সম্পর্ক : তার বড় ভাই মাসুদ পারভেজ, যিনি সোহেল রানা নামে খ্যাত। রুবেল ভাইয়ের প্রতি এতটাই শ্রদ্ধাশীল যে, কখনও সামনে বসেন না, বসলেও মেঝেতে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা তানিয়া আহমেদ তার ভাগ্নি।
নায়ক রুবেল শুধু রূপালি পর্দার নায়ক নন, বাস্তব জীবনেও একজন লড়াকু যোদ্ধা। অ্যাকশনের মঞ্চে যেমন দুর্দান্ত, তেমনি পরিবার, সমাজ আর সংস্কৃতির জন্যও নিবেদিত প্রাণ।
ঢাকা/রাহাত