হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনের একটি ফেডারেল আদালতে মামলাটি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা পাওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নিল সংবাদ সংস্থাটি।

এপির মামলায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করা হয়েছে। দেশটির সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর ‘মেক্সিকো উপসাগরের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। ওই আদেশ অনুসরণ করতে অস্বীকৃতি জানায় এপি। এরপর ১০ দিন আগে থেকে তাদের সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানেও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এপির প্রতিবেদকদের।

মামলায় নাম আসা তিনজন হলেন হোয়াইট হাউসের প্রধান কর্মকর্তা সুসান ওয়াইলস, উপপ্রধান কর্মকর্তা টেইলর বুদোউইচ ও প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট। গতকাল ওয়াশিংটনে এক সম্মেলনে লেভিট বলেন, ‘আমরা মনে করি আমরা সঠিক দিকেই আছি। হোয়াইট হাউসে প্রতিদিন যেন সত্য ও নির্ভুলতা বিদ্যমান থাকে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’

এদিকে নিজেদের নীতিমালায় এপি উল্লেখ করেছে—মেক্সিকো উপসাগর নামটি ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই উপসাগরের নতুন যে নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন, সেটি মেনে নেওয়ার পাশাপাশি উপসাগরটির আসল নামই ব্যবহার করবে এপি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ