জাপানিরা ড্রয়িংরুমের সাজ-সজ্জায় তিনটি বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাদের মতো ড্রয়িংরুম সাজাতে চাইলে জেনে নিতে পারেন এই তিন উপায়।
কম উচ্চতার আসবাব: জাপানিরা তাদের ড্রংয়িংরুমে কম উচ্চতার আসবারপত্র রাখে। বিশেষ করে কম উচ্চতার টেবিল ব্যবহার করেন। অনেক সময় টেবিলের পরিবর্তে ফ্লোর কুশনও ব্যবহার করে থাকেন তারা। মেঝেতে ‘তাতামি’ বা ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করে তাকে জাপানিরা।
ঘর সাজাতে প্রাকৃতিক উপকরণ: জাপানিরা ঘর সাজাতে প্রাকৃতিক উপদানে তৈরি আসবাবপত্র বেশি ব্যবহার করেন। বিশেষ করে কাঠ বা বাঁশের আসবাবই বেশি ব্যবহার করেন। রুম ডিভাইডার হিসেবে তারা ব্যবহার করেন ‘শোজি স্ক্রিন’ যা রাইস পেপার শিট। এগুলো কাঠের ফ্রেম দিয়ে তৈরি করা হয়। তারা দরজা জানালাতেও কাঠের ফ্রেম ব্যবহার করে থাকেন।
আরো পড়ুন:
নখের যে রং গুরুতর রোগের জানান দেয়
যে অভ্যাসগুলো আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে
আলোর ব্যবহার: জাপানিদের ঘরে তীক্ষ্ন আলোর পরিবর্তে নিয়ন আলোর ব্যবহার বেশি করা হয়। সেক্ষেত্রে কাঠের লণ্ঠন, পেন্ডেন্ট লাইট ব্যবহার করেন তারা।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটি ৫ প্রকাশের আগেই এল গ্রোক ৪, মাসিক খরচ ৩০০ ডলার
চ্যাটজিপিটি ৫ প্রকাশের আগেই নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল উন্মোচন করল ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্সএআই। বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ‘গ্রোক ৪’ নামের এই নতুন চ্যাটবটটি এক সরাসরি সম্প্রচারে (লাইভস্ট্রিম) উন্মোচন করা হয়। একই সঙ্গে চালু হয়েছে এর উচ্চক্ষমতার সংস্করণ ‘গ্রোক ৪ হেভি’ এবং নতুন সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান ‘সুপারগ্রোক হেভি’।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, গ্রোক ৪ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এআই মডেল। এক্সএআইয়ের মতে, নতুন এই মডেল একাডেমিক জ্ঞান ও বিশ্লেষণী দক্ষতায় এতটাই উন্নত যে, এটি পিএইচডি পর্যায়ের গবেষকের চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে। যদিও মডেলটি এখনো নতুন কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেনি, ইলন মাস্কের ভাষ্য অনুযায়ী ভবিষ্যতে সেটিও সম্ভব। গ্রোক ৪ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস যন্ত্রের জন্য গ্রোক অ্যাপে এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা এখনই এটি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।
এক্সএআই জানিয়েছে, ‘হিউম্যানিটি লাস্ট এক্সাম’ নামের এক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গ্রোক ৪ উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। কোনো ধরনের সহায়ক টুল ছাড়াই এই পরীক্ষায় মডেলটি ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ নম্বর পায়। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এতে গুগলের জেমিনি ২ দশমিক ৫ প্রো এবং ওপেনএআইয়ের ও থ্রি মডেলকেও ছাড়িয়ে গেছে গ্রোক ৪। যখন টুল ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়, তখন সেই পরীক্ষায় গ্রোক ৪ পায় ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ স্কোর, যা গুগলের শীর্ষস্থানীয় মডেলের চেয়েও বেশি।
গ্রোক ৪-এর পাশাপাশি চালু হয়েছে ‘গ্রোক ৪ হেভি’ নামের একটি উন্নত সংস্করণ। এ জন্য চালু করা হয়েছে ‘সুপারগ্রোক হেভি’ নামের একটি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান। এর মাসিক খরচ ৩০০ মার্কিন ডলার। এটি মূলত গবেষক, সফটওয়্যার নির্মাতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর কাজের সঙ্গে জড়িত পেশাজীবীদের জন্য তৈরি। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি এখনো অনেক ব্যয়বহুল।
সূত্র: নিউজ১৮