জাপানিরা ড্রয়িংরুমের সাজ-সজ্জায় তিনটি বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাদের মতো ড্রয়িংরুম সাজাতে চাইলে জেনে নিতে পারেন এই তিন উপায়।
কম উচ্চতার আসবাব: জাপানিরা তাদের ড্রংয়িংরুমে কম উচ্চতার আসবারপত্র রাখে। বিশেষ করে কম উচ্চতার টেবিল ব্যবহার করেন। অনেক সময় টেবিলের পরিবর্তে ফ্লোর কুশনও ব্যবহার করে থাকেন তারা। মেঝেতে ‘তাতামি’ বা ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করে তাকে জাপানিরা।
ঘর সাজাতে প্রাকৃতিক উপকরণ: জাপানিরা ঘর সাজাতে প্রাকৃতিক উপদানে তৈরি আসবাবপত্র বেশি ব্যবহার করেন। বিশেষ করে কাঠ বা বাঁশের আসবাবই বেশি ব্যবহার করেন। রুম ডিভাইডার হিসেবে তারা ব্যবহার করেন ‘শোজি স্ক্রিন’ যা রাইস পেপার শিট। এগুলো কাঠের ফ্রেম দিয়ে তৈরি করা হয়। তারা দরজা জানালাতেও কাঠের ফ্রেম ব্যবহার করে থাকেন।
আরো পড়ুন:
নখের যে রং গুরুতর রোগের জানান দেয়
যে অভ্যাসগুলো আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে
আলোর ব্যবহার: জাপানিদের ঘরে তীক্ষ্ন আলোর পরিবর্তে নিয়ন আলোর ব্যবহার বেশি করা হয়। সেক্ষেত্রে কাঠের লণ্ঠন, পেন্ডেন্ট লাইট ব্যবহার করেন তারা।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের মতোই গোপনে বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে: বাম জোট
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও গোপনে দেশের বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
চট্টগ্রামের লালদিয়ার এবং ঢাকার পানগাঁওয়ের কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ অভিযোগ করা হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার বদলে এসব চুক্তির মাধ্যমে তা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে একের পর এক গোপন চুক্তি করেছিল, বর্তমান সরকারও একইভাবে গোপন চুক্তির মাধ্যমে দেশের বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।’
১২ নভেম্বর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির এক সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং ৩০ বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব ডেনমার্কের একটি প্রতিষ্ঠানকে দিতে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালটি সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানিকে দিয়ে পুনরায় চালু করার আলোচনাও হয় ওই সভায়।
‘দেশবিরোধী’ এসব চুক্তি রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সমাবেশে সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ এগুলো নয়। আপনাদের কাজ হলো দ্রুত একটা সাধারণ নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেওয়া। কিন্তু সেটি না করে একের পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে।’
সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘দেশের বন্দর ও টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এই চুক্তি হলে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। সব জিনিসপত্রের ওপর শুল্ক বসবে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভূরাজনীতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের অংশ বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সম্পদের ওপর বড় আঘাত।’
সরকারকে এসব চুক্তি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে বন্দর ইজারা দেওয়ার মানে দেশের বন্দরকে নিরাপত্তাহীন করে ফেলা। দেশকে আরও বৈষম্যের দিকে ঠেলা দেওয়া। আমরা সেটি হতে দেব না। অবিলম্বে এই চুক্তি থেকে সরে আসুন। দেশীয় মালিকানায় বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতী সরকারের ওপর কী দায়িত্ব ছিল, আর তিনি কী করছেন? আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে দেশের বন্দর ও টার্মিনাল তুলে দিয়ে তাদের দালালি করছেন। সাম্রাজ্যবাদীর দালালি করে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন, সেটা হবে না।’
বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বাসদের (মার্ক্সবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানাও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাম জোট।