ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ উড়ে গেছে মাইন বিস্ফোরণে। ক্ষতবিক্ষত পায়ের বাকি অংশ নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জেলে মোহাম্মদ ফিরোজ (৪৫)। মাছ ধরে ফেরার সময় গত ৬ এপ্রিল মাইন বিস্ফোরণে আহত হন তিনি। কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের শূন্যরেখার অদূরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ফিরোজের মতো প্রায়ই মাইন ও আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে হতাহত হচ্ছেন মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষ। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এক তরুণ। বিস্ফোরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায়।

মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পঙ্গু হয়ে গেছেন। জীবিকা হারিয়ে অনেকেরই এখন দুর্বিষহ জীবন। চিকিৎসা ব্যয়সহ নানা খরচ সামাল দিতে হতাহতদের পরিবারও অনেকটা নিঃস্ব।

মিয়ানমারে দেশটির সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান সংঘাতে ব্যাপক হারে প্রাণঘাতী ভূমিমাইন ও গোলাবারুদ ব্যবহার হচ্ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে আরাকান আর্মি। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে রাজ্যটির বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির হাতে।

মূলত আরকান আর্মির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে থাকা রোহিঙ্গা সশস্ত্র দলের সদস্যদের ঠেকাতেই মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। যদিও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মতো আরাকান আর্মিও সীমান্ত এলাকায় মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বান্দরবান ও কক্সবাজার অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমানা রয়েছে ২৭১ কিলোমিটারের মতো। অভিযোগ উঠেছে, আরাকান আর্মিও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ব্যাপক হারে মাইন পুঁতে রেখেছে, যাতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। মূলত আরকান আর্মির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে থাকা রোহিঙ্গা সশস্ত্র দলের সদস্যদের ঠেকাতেই মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। যদিও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মতো আরাকান আর্মিও সীমান্ত এলাকায় মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ভূমিমাইনে বিশ্বে যেসব দেশে হতাহতের ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমার। গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইনসের (আইসিবিএল) ‘ল্যান্ডমাইন মনিটর ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভূমিমাইন ও বিস্ফোরক ধারণকারী গোলাবারুদের আঘাতে ২০২৩ সালে মিয়ানমারে এক হাজার তিনজন হতাহত হয়েছেন। একই সময়ে সিরিয়ায় হতাহত হয়েছেন ৯৩৩ জন।

১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি হয়। ভূমিমাইন তৈরি, ব্যবহার ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই চুক্তিতে। তবে যেসব দেশ এই চুক্তিতে সই করেনি, মিয়ানমার তার মধ্যে একটি।

ফিরোজ জানান, তাঁর বাড়ি থেকে অদূরেই নাফ নদী। সেই নদী পার হয়ে লালচর এলাকায় কিছু মাছের ঘের রয়েছে। এসব মাছের ঘের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হলেও সীমান্ত এলাকার মানুষ সেখানে মাছ ধরেন। তিনিও মাছ ধরতেই গিয়েছিলেন। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন।

‘আমার ডান পা উড়ে গেছে’

মাইন বিস্ফোরণে আহত মোহাম্মদ ফিরোজ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী এলাকার মো.

আলী আহমদের ছেলে। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত সোমবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডান পায়ের একটি অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাঁর। বাকি অংশের বেশির ভাগই ব্যান্ডেজে মোড়ানো। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সাবেকুন্নাহার।

ফিরোজ জানান, তাঁর বাড়ি থেকে অদূরেই নাফ নদী। সেই নদী পার হয়ে লালচর এলাকায় কিছু মাছের ঘের রয়েছে। এসব মাছের ঘের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হলেও সীমান্ত এলাকার মানুষ সেখানে মাছ ধরেন। তিনিও মাছ ধরতেই গিয়েছিলেন। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন।

মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা স্মরণ করতেই তাঁর চোখেমুখে আতঙ্ক ফুটে ওঠে। বলেন, ‘অনেকেই একসঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। আগে মাছ ধরে ধরে পানি বেয়ে ফিরতাম। তবে এবার খিদে বেশি লাগায় ঘেরের মাঝখানে থাকা আল ধরে হেঁটে ফিরছিলাম। হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ। মুহূর্তের জন্য হুঁশ হারিয়ে ফেলি। হুঁশ ফিরতেই দেখি, আমি গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি, আমার ডান পা উড়ে গেছে।’

ফিরোজ বলেন, ‘তখনো আমার কাঁধের ওপর মাছ ধরার জাল। মাছ রাখার খালুইও কাঁধে। সেখানে প্রায় সাত কেজির মতো মাছ ছিল। আমি জালটা কাঁধ থেকে ফেলে দিই, খালুইটা ধরে রাখি। ভাবি, অন্তত ঘরে ছেলে-মেয়েরা এসব মাছ খাবে। এরপর হামাগুড়ি দিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যাই। জোরে ডাক দিই। চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা জেলেরা আমাকে উদ্ধার করে উখিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রামে।’

২০ বছরের বেশি সময় মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আসছেন জানিয়ে ফিরোজ বলেন, ‘যে এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আগেও অনেকবার মাছ ধরেছি। কখনো এ রকম ঘটনার মুখে পড়তে হয়নি।’

তখনো আমার কাঁধের ওপর মাছ ধরার জাল। মাছ রাখার খালুইও কাঁধে। সেখানে প্রায় সাত কেজির মতো মাছ ছিল। আমি জালটা কাঁধ থেকে ফেলে দিই, খালুইটা ধরে রাখি। ভাবি, অন্তত ঘরে ছেলে-মেয়েরা এসব মাছ খাবে। এরপর হামাগুড়ি দিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যাই। জোরে ডাক দিই। চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা জেলেরা আমাকে উদ্ধার করে উখিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রামে।ফিরোজ

বিস্ফোরণের পর থেকে সংসারের ভরণপোষণ নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বলেও জানান ফিরোজ। তিনি বলেন, ৪ ছেলে ২ মেয়ে আর স্ত্রী সাবেকুন্নাহারকে নিয়ে সংসার তাঁর। তাঁর আয়েই মূলত সংসারের খরচ চলত। সম্প্রতি তাঁর ১৮ বছর বয়সী বড় ছেলেটি দিনমজুর হিসেবে কাজ করে কিছুটা আয় করছে। তবে ছেলের একার আয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়।

ফিরোজ বলেন, ‘এক মাস ধরে হাসপাতালে আছি। মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা সংগ্রহ করে স্ত্রী চিকিৎসার খরচ চালাচ্ছে। হাসপাতাল থেকে কখন ছাড়া পাই, জানি না। ছাড়পত্র পেলেও অনেক দিন চিকিৎসা চালিয়ে নিতে হবে। কীভাবে যে চিকিৎসার খরচ জোগাব, আর কীভাবেই–বা সংসারের খরচ মেটাব, ভেবে কূল পাই না।’

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত আবদুস সালাম। গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ও স ম ন ত এল ক আর ক ন আর ম ভ ম ম ইন এসব ম ছ ম ইন প এল ক য় র খরচ

এছাড়াও পড়ুন:

বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করতে পারেনি অধিকাংশ ব্যাংক

দেশের অধিকাংশ ব্যাংক ২০২৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। গত ৩০ এপ্রিল আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার নির্ধারিত সময় ছিল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টির মধ্যে ২৪টি ব্যাংকের হিসাব চূড়ান্ত হয়নি। তালিকাভুক্ত নয় এ রকম ২৫টি ব্যাংকের মধ্যে বেশির ভাগের একই অবস্থা। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার প্রকৃত আর্থিক চিত্র দেখানোর বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আরেক দিকে প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় নেওয়া ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে না– এমন কঠিন শর্ত দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিবরণী চূড়ান্ত করার সময় এক মাস বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এবার আর কোনো শিথিলতা দেখায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে বার্ষিক আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার সময় অনেক বিষয় ছাড় দেওয়া হতো। এর ওপর আবার ডেফারেল সুবিধা তথা নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে বাড়তি সময় দেওয়া হতো। এবার সব দিক দিয়ে কঠোরতার কারণে অনেক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ অনেক বেড়েছে। এসবের বিপরীতে প্রভিশন হিসাব করতে হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে নিয়মিত দেখানো খেলাপি ঋণের বিপরীতেও প্রভিশন রাখতে বলা হয়েছে। আবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য ব্যাংকে আটকে থাকা আমানতের বিপরীতেও প্রভিশন হিসাব করা হয়েছে। যে কারণে বেশির ভাগ ব্যাংক প্রভিশন রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ মার্চ এক নীতিমালায় জানায়, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংক ২০২৪ সালের জন্য লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এই শর্ত থেকে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করছে অনেক ব্যাংক। কোনো কোনো ব্যাংক একবারে এত কঠোরতা না দেখানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ওয়াশিংটন থেকে দেশে ফিরেছেন। আজ রোববার থেকে তিনি অফিস করবেন। আজ আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার সময়সীমা এক মাস বাড়ানোর চিঠি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

দেশে বর্তমানে ৬১টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ৯টি এবং সরকারি ৯টি। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কেবল রূপালী ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ৪৩টি ব্যাংকের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে ২৪টি কোনো না কোনো সুবিধা চেয়ে আবেদন করেছে। তবে গভর্নর দেশে না থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে কিছুই জানায়নি। কেবল মৌখিকভাবে বলেছে, যথাসময়ে বিবরণী জমা হয়েছে হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইন লঙ্ঘনজনিত কোনো জরিমানা করা হবে না।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানার রূপালী ব্যাংকের বাইরে বিবরণী চূড়ান্ত না হওয়া বেসরকারি ব্যাংকগুলো হলো– ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা, মার্কেন্টাইল, এনসিসি, ওয়ান, শাহ্‌জালাল ইসলামী, সাউথইস্ট, ইউসিবি, আল-আরাফাহ ইসলামী, স্ট্যান্ডার্ড, প্রিমিয়ার, এক্সিম, আইএফআইসি, এবি, ন্যাশনাল, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ও গ্লোবাল ইসলামী। নতুন প্রজন্মের ইউনিয়ন, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স, এনআরবি কমার্শিয়াল এবং এনআরবি ব্যাংক এ তালিকায় আছে।
বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ১২টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবারও কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর লভ্যাংশ দিয়েছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, সিটি, ইস্টার্ন, পূবালী, ডাচ্‌-বাংলা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ট্রাস্ট, যমুনা, প্রাইম, উত্তরা ও মিডল্যান্ড ব্যাংক। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। মোট ঋণের যা ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় যা ২ লাখ ১৩১ কোটি টাকা বেশি। এখন হিসাব বিবরণী চূড়ান্ত করতে গিয়ে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত ফেব্রুয়ারি মাসে জানিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে আগামীতে অনেক ব্যাংক আর লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ