সুরা কারিয়াতে কিয়ামতের ভয়াবহতার বর্ণনা
Published: 4th, May 2025 GMT
সুরা কারিয়া (মহাপ্রলয়) পবিত্র কোরআনের ১০১তম সুরা। কিয়ামতকে মহাপ্রলয় বলা হয়েছে, এ জীবনে যাদের সৎকর্মের পাল্লা ভারী হবে, সেদিন তারাই সুখের জীবন লাভ করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার স্থান হবে গনগনে আগুন হাবিয়ায়।
সুরা কারিয়ার অর্থ আবার দেখে নিই
১. মহাপ্রলয়! ২. মহাপ্রলয় কী? ৩. মহাপ্রলয় সম্বন্ধে তুমি কী জান? ৪.
সুরার মূল বিষয়বস্তু
প্রথমেই আল্লাহ করিয়াহ শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং একটি শব্দেই প্রথম আয়াত শেষ করে দিয়েছেন। এর ফলে প্রশ্ন জাগে এই ‘করিয়াহ’ কী? আল্লাহ বলে দিচ্ছেন পরের আয়াতে। এরপর আবার আল্লাহ প্রশ্ন করে বললেন মহাপ্রলয় সম্বন্ধে তুমি কী জান? করিয়াহ শব্দটি বেশ অর্থবহ। করিয়াহ বলতে বিকট শব্দ বোঝায়, বিরক্তিকর, ভীতিকর, ধ্বংসাত্মক। আল্লাহ সুরার শুরুতে তিনবার (১ম, ২য়, ৩য় আয়াতে) এই শব্দ ব্যবহার করে এর গুরুত্ব তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনবার ফুৎকার দেওয়ার কথা জানা যায়, প্রথম ফুৎকারে কিয়ামত হবে, দ্বিতীয়তে সবাই মারা যাবে, তৃতীয় ফুৎকারে আবার সবাই জেগে উঠবে। এই তিনবার করিয়াহ বলার মাধ্যমে ওই তিন ফুৎকারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনসুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, সেদিন মানুষ বাতির পোকার মতো বিক্ষিপ্ত হবে। তারা এদিক–সেদিক লক্ষ্যহীন ছুটতে থাকবে। এখানে আল্লাহ মানুষ বোঝাতে ‘নাস’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
পঞ্চম আয়াতে আছে, আর পাহাড়গুলো ধুনিত হবে রঙিন পশমের মতো। পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে হালকা হয়ে যাবে যে উড়তে থাকবে। এরপরই ষষ্ঠ আয়াতে আল্লাহ বললেন, তখন যার ওজনের পাল্লা ভারী হবে, সে সুখী জীবন লাভ করবে। অপর দিকে কিন্তু যার পাল্লা হালকা হবে, তার জায়গা হবে হাবিয়া (৮ম ও ৯ম আয়াত)। এখানে হাবিয়াহকে তার মা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
হাবিয়াহ জাহান্নাম ‘মা’ বলা হলো কারণ শিশু তার মায়ের দিকে এমনিতেই, নিজ ইচ্ছাতেই এগিয়ে যায়। তেমনি পাপী মানুষেরাও নিজেরাই তাদের মায়ের (হাবিয়াহ জাহান্নাম) দিকে এগিয়ে যাবে, নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মা যেমন তার শিশুকে জন্মের আগে পেটের মধ্যে যত্নে রাখে, বড় হলেও বুকে আগলে রাখে, তেমনি হাবিয়াহ জাহান্নামও পাপীদের তার ভেতরে যত্নসহকারে আটকে রাখবে, বের হতে দেবে না। ১০ম আয়াতে সেটা কী, তুমি কি তা জানো? প্রশ্ন করার পর পরের (১১তম) আয়াতে আল্লাহই এর উত্তর দিয়েছেন। তা হলো (সে) এক গনগনে আগুন।
আরও পড়ুনমুসা (আ.)-এর বিয়ের শর্ত১৫ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে
ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।
গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
ঢাকা/এমআর/ইভা