এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি ২০২২ সালের আগস্টে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। এর আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ (রুমী) আলীও পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর দায়িত্ব পান খায়রুল আলম চৌধুরী। এবি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা দুজনই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

ব্যাংকটির উদ্যোক্তা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ শুরু থেকে মোরশেদ খান ও তাঁর ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের কাছে। তবে গত ১৫ বছরে তাঁরা পর্ষদে ছিলেন না, তাঁদের প্রতিনিধিরা ব্যাংকের পর্ষদে ছিলেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আফজালও পদত্যাগ করেন। তিনি ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন এবং সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।

জানা গেছে, এবি ব্যাংকের শীর্ষ গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন না। এর মধ্যে অন্যতম হলো সিকদার গ্রুপ, আশিয়ান সিটি, বিল্ডট্রেড, মাহিন গ্রুপ, আমান গ্রুপ, এরশাদ ব্রাদার্স ও স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম ওরফে মিঠুর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণও ঠিকমতো আদায় করতে পারছে না ব্যাংকটি। এ ছাড়া মোরশেদ খানের মালিকানাধীন বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের ঋণও খেলাপি হয়ে রয়েছে। ফলে ব্যাংকটিতে নানা অস্থিরতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি ব্যাংকটির পর্ষদে রয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একিভূত করতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন

দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থায় ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম থাকায় বিভ্রান্ত হতে হয় বিনিয়োগকারীদের। এই সমস্যা সমাধানে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে একীভূত করতে একটি কেন্দ্রীয় 'ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন এজেন্সি (আইপিএ)' গঠনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য একটি কমিটি গঠন  করা হয়েছে। দেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের-বিডা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

৮ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির আহবায়ক হলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান। সদস্য সচিব করা হয়েছে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনকে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্ঠার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

এই কমিটি গঠনের বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল বিডার গভর্নিং বোর্ডের তৃতীয় সভায় আলোচনা হয়। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এ কমিটি সামগ্রিক বিষয় পরীক্ষা ও যাচাই করে মতামত দেবেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই পরবর্তী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ