এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরীও পদত্যাগ করলেন
Published: 4th, May 2025 GMT
এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি ২০২২ সালের আগস্টে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। এর আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ (রুমী) আলীও পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর দায়িত্ব পান খায়রুল আলম চৌধুরী। এবি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা দুজনই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
ব্যাংকটির উদ্যোক্তা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ শুরু থেকে মোরশেদ খান ও তাঁর ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের কাছে। তবে গত ১৫ বছরে তাঁরা পর্ষদে ছিলেন না, তাঁদের প্রতিনিধিরা ব্যাংকের পর্ষদে ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আফজালও পদত্যাগ করেন। তিনি ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন এবং সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
জানা গেছে, এবি ব্যাংকের শীর্ষ গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন না। এর মধ্যে অন্যতম হলো সিকদার গ্রুপ, আশিয়ান সিটি, বিল্ডট্রেড, মাহিন গ্রুপ, আমান গ্রুপ, এরশাদ ব্রাদার্স ও স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম ওরফে মিঠুর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণও ঠিকমতো আদায় করতে পারছে না ব্যাংকটি। এ ছাড়া মোরশেদ খানের মালিকানাধীন বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের ঋণও খেলাপি হয়ে রয়েছে। ফলে ব্যাংকটিতে নানা অস্থিরতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি ব্যাংকটির পর্ষদে রয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: সৌদি
বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি।
আল জাজিরার লাইভ আপডেটে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনাকে টার্গেট করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টরের ওপরও হামলা হয়েছে।
বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের এমন হামলার পর সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন বলেছে, বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর স্থাপনার মূল ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, স্থাপনাটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সেখানে কোনও ধরনের পারমাণবিক উপাদান ছিল না। যে কারণে সেখানে বিকিরণের কোনো ঝুঁকি নেই বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এর আগে, ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ এবং ভূগর্ভে অবস্থিত ফোরদো প্ল্যান্টেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।