Samakal:
2025-05-04@23:56:42 GMT

জাদুর ঘোড়া কর্লিও

Published: 4th, May 2025 GMT

জাদুর ঘোড়া কর্লিও

মানুষের পথচলায় ঘোড়ার পিঠে যাত্রার সূচনা সেই আদি যুগে। সময় বদলেছে, বাহন বদলেছে, আধুনিক হয়েছে সবকিছু; কিন্তু ঘোড়া আবার ফিরছে। তবে ভবিষ্যতের সবচেয়ে আধুনিক
বাহন হয়ে।
যান্ত্রিক ঘোড়া কর্লিও উদ্ভাবন করে চমক সৃষ্টি করেছে জাপানি বাইক নির্মাতা কাওয়াসাকি। অসমান হোক বা পাহাড়ি পথ– এমন যে কোনো ভূমিতে যাত্রীকে পিঠে নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে ছুটতে পারবে হাইড্রোজেন জ্বালানিতে সচল বিশেষ ঘোড়া কর্লিও। জাপানি নির্মাতারা ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিকে আরেক মাত্রায় পৌঁছে দিল। এবার যান্ত্রিক ঘোড়া (রোবটিক হর্স) উদ্ভাবন করে সারাবিশ্বকে চমক দেখিয়েছে সূর্যোদয়ের দেশ খ্যাত জাপান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) প্রযুক্তির উন্মাদনায় নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে কর্লিও। পাহাড়ি পথে বুদ্ধিদীপ্ত গতিতে ছুটে চলার সক্ষমতা আছে। এমন যান্ত্রিক ঘোড়া ভবিষ্যতে দুর্গম পথে যাত্রী পারাপারে বৈপ্লবিক ও দৃশ্যমান পরিবর্তন আনবে বলে নির্মাতারা দাবি করেছে।
জাপানের বিখ্যাত মোটরসাইকেল নির্মাতা কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ হাইড্রোজেন শক্তির চার পায়ের বিশেষ ধরনের যান্ত্রিক ঘোড়ার ডিজাইন করেছে। রোবটিক ঘোড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্লিও’। চলতি বছরের ওসাকা-কানসাই প্রদর্শনীতে যান্ত্রিক ঘোড়াকে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে নির্মাতারা। ঠিক তার পরই কর্লিও নিয়ে দুনিয়াজুড়ে হইচই পড়ে যায়।
নির্মাতারা বলছে, যান্ত্রিক ঘোড়ার চার পা পথের প্রয়োজনে আলাদাভাবে কাজ করতে পারদর্শী। তাই যে কোনো দুর্গম পথে ঘোড়াটি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। গন্তব্যের পথে ছুটে চলার সময় যাত্রীকে পিঠে নিতে পারবে কর্লিও। যার মধ্যে রয়েছে ১৫০ সিসির হাইড্রোজেন
পরিচালিত ইঞ্জিন।
কাওয়াসাকি উদ্ভাবিত যান্ত্রিক ঘোড়ার অবয়ব ধাতু ও কার্বনের তৈরি। সামনের প্রান্তে মাথার মতো ঢাল রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বাইকের ডিজাইনসদৃশ কর্লিওর নকশা করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিতে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকায় ঘোড়া সওয়ারের শরীরের নড়াচড়ায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে সক্ষম কৃত্রিম ঘোড়াটি।
বাইকের বিকল্প কোনো চিন্তা থেকে এমন বাহনের চিন্তা করা হয়েছে কিনা– এ বিষয়ে নির্মাতার তরফ থেকে তেমন কিছু জানানো হয়নি। তবে যাত্রীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে বহুমাত্রিক ফিচার যুক্ত করা করেছে। যার মধ্যে দিকনির্দেশনা যন্ত্র, হেড আপ ডিসপ্লে, হাইড্রোজেন জ্বালানির পরিমাপক এবং ওজন বণ্টনের যন্ত্র অন্যতম। রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহে দারুণ পারদর্শী অত্যাধুনিক এ ঘোড়া। নির্মাতা কাওয়াসাকি বলছে, দ্রুত যান্ত্রিক ঘোড়ার প্রযুক্তিতে দৃশ্যমান বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। গবেষণা ও মানোন্নয়নে সব রকমের ধাপ পেরিয়ে তবেই একে বাণিজ্যিক করা হবে। কর্লিওর সম্ভাব্য দাম নিয়েও তেমন কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ল ও

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের উপস্থিতিতে অপহরণের অভিযোগ, দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি পল্লী চিকিৎসক

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পল্লী চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের হাতি চামটার ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, মাথায় হেলমেট এবং পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তার সামনেই কয়েকজন ব্যক্তি তরিকুল ইসলামকে টেনে-হিঁচড়ে একটি অটোভ্যানে তুলছেন। এ সময় আশপাশের কয়েকজন তাকিয়ে দেখেন। তরিকুল তাদের সাহায্য চাইলেও সবাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তদের একজনকে বলতে শোনা যায়, 'এ এখানে প্রশাসনের লোক আছে।' 

অপহরণের শিকার তরিকুল ইসলাম ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কুটিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। ভাতগ্রাম বাজারে পল্লি চিকিৎসক হিসেবে তার চেম্বার ও ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করতেন।

এদিকে অপহরণের দুইদিন পার হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে না পারায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বজনরা। তবে অপহরণকারীরা এ পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ বার ফোন দিয়ে অপহৃত তরিকুলের ছোটভাই হিরুর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে পল্লী চিকিৎসকের ছোটভাই হিরু মিয়া সাদুল্লাপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলামের ঔষধের দোকানে সুমন নামে এক ব্যক্তি ৬ মাস কাজ করেছেন। পরে তাকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলে বিভিন্ন অজুহাতে তিনি  টাকা দাবি করে আসছিলেন দোকান মালিক তরিকুলের কাছে। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিসি বৈঠকও হয়। গত শুক্রবার বিকেলে তরিকুল বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ভাতগ্রাম বাজারে তার দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে সুমনসহ স্থানীয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে মারধর করেন এবং জোরপূর্বক তাকে অটোরিকশা ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।

পল্লি চিকিৎসকের ছোটভাই হিরু মিয়া বলেন, অভিযোগ দেওয়ার দুইদিন হয়ে গেল, এখনো আমার ভাইকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ সেখানে সাদুল্লাপুর থানার একজন এএসআই উপস্থিত ছিলেন। অপহরণকারীরা সবার পরিচিত। দিনে দুপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর কারণে ভাইকে নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি আমরা। তার দুই মেয়ে শুধু কাঁদছে। 

তিনি আরও বলেন, সবশেষ রোববার দুপুরে অপহৃত তরিকুলের কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে দুর্বৃত্তরা ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছেন। প্রশাসনের কাছে তার বড়ভাইকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। 

রোববার রাত ৯টায় সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার সমকালকে বলেন, ‘অপহরণের সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তির উপস্থিতির কথা শুনেছি। কিন্তু স্পষ্ট নয়। অপহরণের শিকার তরিকুল ইসলামকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলামান রয়েছে।’ 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ