গাভাস্কারকে ‘স্টুপিড’ বললেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার
Published: 5th, May 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই এখন কেবল আইসিসি এবং এসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায়। এখন সেই সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে চায় না। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইসিসি ও এসিসির কাছে বিসিসিআই ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে না রাখার অনুরোধ করবে।
ওই গুঞ্জনে হাওয়া দেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। তিনি আশঙ্কা করে স্পোর্টস টুডেকে বলেন, ‘এশিয়া কাপে পাকিস্তান অংশ নাও নিতে পারে। বিসিসিআই ভারত সরকারের নির্দেশ মেনে চলে। যেহেতু এবারের আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে টুর্নামেন্ট হতে পারে।’
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক পূর্বের চেয়েও খারাপ হয়েছে। এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছে ভারত। যে তিক্ততা দুই দেশের ক্রিকেটে গিয়ে পৌঁছেছে। এরই প্রেক্ষাপটে গাভাস্কারের এমন মন্তব্য।
গাভাস্কারের মন্তব্যে চটেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ ও বাসিত আলী। মিয়াঁদাদের মতে, গাভাস্কারের মতো সম্মানিত সাবেক ক্রিকেটার কেন ক্রিকেটে রাজনীতি টানবেন। গাভাস্কারের আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করাকে ‘স্টুডিট’ বলেছেন বাসিত।
মিয়াঁদাদ বলেন, ‘সানি ভাই (গাভাস্কার) এটা বলেছেন বিশ্বাসই করতে পারছি না। তিনি দুই দেশের ক্রিকেটেই সম্মানিত ব্যক্তি। নিজেকে সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে রাখেন।’
বাসিত বলেন, ‘এটা স্টুপিডের মতো কথা। এই আলোচনা এখানে শেষ করতে দেন, ক্রিকেট সবসময় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকা উচিত।’ পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও বলেছেন, ‘রাজনীতর অঙ্গনে যা-ই ঘটুক, ক্রিকেট এর বাইরে থাকা উচিত।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে
ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।
গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
ঢাকা/এমআর/ইভা