গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আনিসুর হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি
Published: 6th, May 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আনিসুরের বোন ও মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার।
তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বিপ্লব সাহা পরিচয় দিয়ে আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়ালের নাম মামলা থেকে বাদ দিতে বলা হয়। দিলীপ কুমার আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক। তিনি রাজি না হওয়ায় দিলীপ কুমার ফোন করে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে বলেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁকে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন।
দিলীপ কুমার আগারওয়াল গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর অসুস্থতা দেখিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে আনিসুর রহমানের পরিবার।
তাহমিনা আক্তার আরও বলেন, মামলার আরেক আসামি শ্রমিক লীগ নেতা আওরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু। তাঁর কথিত বোন পরিচয় দিয়ে জোবাইদা ইসলাম নামের এক নারী ফোন করে মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে জোবাইদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওরঙ্গজেব সিদ্দিক তাঁর কাছের ভাই। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাউজক) চাকরি করেন। তিনি শ্রমিক দলের সদস্য, শ্রমিক লীগ নেতা নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে দিলীপ কুমার আগারওয়াল পরিচয় দিয়ে যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তাহমিনা আক্তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। পলাতক ও কারাগারে থাকা আসামিদের হুমকিতে তিনি ও তাঁর পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার ও অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন