চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা
Published: 6th, May 2025 GMT
চিকিৎসকদের কাছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি পাঠিয়ে সরাসরি ওষুধের প্রচার চালানো বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এখন থেকে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ডাক বা ই-মেইলের মাধ্যমে চিকিৎসকদের কাছে পণ্যের তথ্য পাঠাতে পারবে। সরাসরি সাক্ষাৎ করে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা.
এই সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের নিরপেক্ষতার পাশাপাশি রোগীদের স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কমিশন। কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসক-ফার্মাসিউটিক্যাল-সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কিত সুপারিশ করেছে কমিশন, ওষুধের নমুনা বা উপহার দিয়ে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সংস্কার প্রতিবেদনে সরকারি হাসপাতালে সেবা বিকেল ৫টা পর্যন্ত করা, বেসরকারি হাসপাতালে সেবামূল্য নির্ধারণ, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওষুধের কাঁচামাল তৈরি, স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য সার্ভিস গঠনসহ ৩২টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট কমেছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল, তা কমেছে। তবে ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে তাঁর শরীরে নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। কেবিনে রেখেই মেডিকেল বোর্ড তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত রোববার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী আজ বুধবার সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল হয়েছে। নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনা করে মহিলা দলের আয়োজনে দোয়া মাহফিল হয়।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রী এমন একজন নেত্রী, যিনি আমাদের গভীর অন্ধকারে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তিনি সংকটের মধ্যেও কী করে মাথা উঁচু করে থাকতে হয়, সেটা আমাদের শিখিয়েছেন…আমাদের শিখিয়েছেন সংকটের মধ্যেও নিজেদের মধ্যে ঐক্য রেখে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়। আমরা আজ এখানে তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করব, আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করব।’
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। কিছুদিন পরপরই নানা জটিলতায় তাঁকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।