আজকাল ক্রিকেট মাঠে ভারত ও পাকিস্তানের দেখা হয় শুধু নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রভাবই পড়েছে ক্রিকেটে। সম্প্রতি পেহেলগামের রক্তাক্ত ঘটনার পর দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার শঙ্কাও আছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর বলে দিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও খেলা উচিত নয় তাদের।

আজ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এবিপি গ্রুপের এক অনুষ্ঠানে গম্ভীরকে জিজ্ঞেস করা হয় ভারতের নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা উচিত কি না। গম্ভীর সরাসরিই নেতিবাচক উত্তর দিলেন এই প্রশ্নে, ‘আমার ব্যক্তিগত উত্তর হলো একদমই না। এসব (সন্ত্রাসী হামলা) বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কিছুই হওয়া উচিত নয়।’

ভারতীয় সৈন্য ও ভারতীয় নাগরিকের জীবনের মূল্য ক্রিকেট ম্যাচ কিংবা বলিউড অথবা দুই দেশের অন্য যেকোনো সম্পর্কের চেয়ে বেশি মূল্যবান।গৌতম গম্ভীর, প্রধান কোচ, ভারত

ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে ২০১৩ সালে। এরপর শুধু এশিয়া কাপ ও আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টেই দেখা হয়েছে দুই দলের। সর্বশেষ এ বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে মুখোমুখি হয় দুই দল। এ বছর মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ছেলেদের এশিয়া কাপেও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে দুই দলের।

ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গম ভ র

এছাড়াও পড়ুন:

সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি দরকার সচেতনতা। তিনি বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের নানা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হলে চলবে না। আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’
ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিল, কিন্তু মানুষ যদি সচেতন না হন, এর সুফল সেভাবে পাওয়া যাবে না। তাই করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। একেবারে জরুরি না হলে মার্কেট, শপিংমল ত্যাগ করা উচিত। করোনার এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের ঘর থেকে বের না করা উচিত। কারণ, মনে রাখতে হবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোও প্রস্তুত করা হচ্ছে। যেখানে যে সংকট আছে তা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে কোনটিতে সংক্রমণের হার বেশি, কেন আক্রান্ত হচ্ছে– সেসব বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। শুরুতে কিছুটা সংকট থাকলে বর্তমানে তা অনেকটা কেটে গেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক পেতে আমি সার্বক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রাখছি।’ সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতালেও করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ছড়াচ্ছে। ভারতের এনবি ১.৮.১ নামের নতুন ধরনটিও ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত ২৩ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এনবি ১.৮.১ ধরনটির সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি এবং এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। নতুন এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামান্য অবহেলা বড় মাশুল দিতে হতে পারে। তাই মাস্ক পড়া ও সচেতনতা বাড়ার বিকল্প নেই।’ 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ