‘পাকিস্তানের সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও খেলা উচিত নয় ভারতের’, বললেন গম্ভীর
Published: 6th, May 2025 GMT
আজকাল ক্রিকেট মাঠে ভারত ও পাকিস্তানের দেখা হয় শুধু নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রভাবই পড়েছে ক্রিকেটে। সম্প্রতি পেহেলগামের রক্তাক্ত ঘটনার পর দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার শঙ্কাও আছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর বলে দিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও খেলা উচিত নয় তাদের।
আজ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এবিপি গ্রুপের এক অনুষ্ঠানে গম্ভীরকে জিজ্ঞেস করা হয় ভারতের নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা উচিত কি না। গম্ভীর সরাসরিই নেতিবাচক উত্তর দিলেন এই প্রশ্নে, ‘আমার ব্যক্তিগত উত্তর হলো একদমই না। এসব (সন্ত্রাসী হামলা) বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কিছুই হওয়া উচিত নয়।’
ভারতীয় সৈন্য ও ভারতীয় নাগরিকের জীবনের মূল্য ক্রিকেট ম্যাচ কিংবা বলিউড অথবা দুই দেশের অন্য যেকোনো সম্পর্কের চেয়ে বেশি মূল্যবান।গৌতম গম্ভীর, প্রধান কোচ, ভারতভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে ২০১৩ সালে। এরপর শুধু এশিয়া কাপ ও আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টেই দেখা হয়েছে দুই দলের। সর্বশেষ এ বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে মুখোমুখি হয় দুই দল। এ বছর মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ছেলেদের এশিয়া কাপেও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে দুই দলের।
ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গম ভ র
এছাড়াও পড়ুন:
সম্মেলনে ৪৪ জেলার চাষি ও উদ্যোক্তা
আম উৎপাদন ও বিপণন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার চাষি, উদ্যোক্তা ও গবেষকদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম আম সম্মেলন। গতকাল মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ক্লাব স্টেডিয়ামে এ আয়োজন করে ম্যাংগো ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। দিনব্যাপী সম্মেলনে দেশের ৪৪ জেলার প্রায় ৩৫০ জন আমচাষি ও উদ্যোক্তা অংশ নেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিক আজিজের সভাপতিত্বে সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। সম্মেলনে বক্তারা আম উৎপাদন ও বিপণনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানিমুখী জোন চিহ্নিতকরণ, প্রশিক্ষিত রপ্তানিকারক তৈরি, আধুনিক প্যাকিং হাউস স্থাপন এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ আম পরিবহন, ওজন পদ্ধতি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা চাষিদের কাছে শোনেন এবং তা নিরসনে উদ্যোগের কথা জানান।
ঢাকার উত্তরা থেকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা সাইয়েদুল বাশার বলেন, তিনি অনলাইনে আম কেনাবেচার উদ্যোগ নেন তিন বছর আগে। এ সম্মেলনে এসে স্থানীয় বেশকিছু আমচাষির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আম সম্পর্কে জানতে পেরে খুশি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা আমের দাম নিয়ে হতাশ। রপ্তানিতেও আছে নানা বাধা। এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. জি এম মোরশেদুল বারী বলেন, রপ্তানির সম্ভাবনা বাড়লেও কীটনাশক, আধুনিক প্যাকেজিং, হ্যান্ডলিং সমস্যা, শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম ও পরিবহনের ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া অনেক উদ্যোক্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভালো জাতের আম, জিআই সনদপ্রাপ্ত আম ও গবেষণায় উদ্ভাবিত হাইব্রিড জাতের রপ্তানিযোগ্য আম নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। এসব বিষয় তুলে ধরতেই তিনিসহ কয়েকজন গবেষক এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শহীদুল হক হায়দারী শহিদ মিয়া বলেন, আম উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও এর সমাধান পেতে এবং সারা দেশের আম উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ তৈরি করতেই আজকের সম্মেলন।