২০২৬ বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবে রাশিয়া, যা জানালেন ট্রাম্প
Published: 7th, May 2025 GMT
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য রাশিয়ার অংশগ্রহণ নিয়ে সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মন্তব্য করেছেন, রাশিয়ার জন্য বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ ‘‘একটি ভালো প্রণোদনা’’ হতে পারে ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ করার জন্য।
তবে, ফিফা ও উয়েফার বর্তমান নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর, ফিফা ও উয়েফা রাশিয়ার জাতীয় দল এবং ক্লাবগুলিকে সব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর, ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো স্পষ্ট করেছেন যে, রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে এবং তারা ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে না।
আরো পড়ুন:
মস্কোতে ব্যাপক ড্রোন হামলা, বন্ধ সব বিমানবন্দর
সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুতিনের ‘নাটক’: জেলেনস্কি
ট্রাম্প পরে বলেন, তিনি রাশিয়ার জন্য বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের পক্ষে লবিং করছেন না, তবে তিনি মনে করেন এটি একটি সম্ভাব্য প্রণোদনা হতে পারে যুদ্ধ শেষ করার জন্য।
বর্তমানে রাশিয়া ২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে না এবং তাদের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
রাশিয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে না, যদি না ফিফা ও উয়েফা তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। ট্রাম্পের মন্তব্য একটি রাজনৈতিক প্রস্তাবনা হলেও, ফিফার বর্তমান নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
এ বছরই কি আসছে ভাঁজযোগ্য আইফোন, চূড়ান্ত প্রস্তুতি কত দূর
অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত ভাঁজযোগ্য বা ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আসতে আর বেশি দেরি নেই। যন্ত্রটির ডিসপ্লে–সংক্রান্ত চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শেষভাগেই শুরু হতে পারে এর উৎপাদন।
অ্যাপলবিষয়ক বিশ্লেষক মিন চি কুও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানিয়েছেন, অ্যাপলের দীর্ঘদিনের উৎপাদন সহযোগী ফক্সকন ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ দিকে বা চতুর্থ প্রান্তিকের শুরুতে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারে। সময় হিসেবে তা আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কুও প্রথম জানান, ফোল্ডেবল আইফোনের বাজারে আসার সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সাল। তখন তিনি বলেন, যন্ত্রটি আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই উন্মোচিত হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদেও তিনি পূর্বাভাসটি দিয়েছেন। তবে এটিও স্পষ্ট করেছেন, এখনো সব পরিকল্পনা পরিবর্তনশীল। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে এ পর্যায়ে যে অগ্রগতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তা হলো, এর ডিসপ্লের স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কুওর তথ্য অনুযায়ী, এই ডিসপ্লে তৈরি করবে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের জন্য বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল প্যানেল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কেবল ডিসপ্লেই নয়, ফোল্ডেবল আইফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অনেক কিছুই এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উপাদান হচ্ছে হিঞ্জ, যা ফোনটিকে ভাঁজ করার মূল প্রযুক্তিগত অংশ। প্রযুক্তিবাজারে এই যন্ত্রাংশ নিয়ে আগ্রহ অনেকদিন ধরেই রয়েছে। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে গুঞ্জন নতুন নয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে অ্যাপলের এমন একটি যন্ত্র তৈরির খবর প্রযুক্তি মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবার সত্যিই হতে চলেছে।
মার্চ মাসে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন ও নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কুওর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপল ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি ইউনিট ফোল্ডেবল আইফোনের প্রাথমিক অর্ডার দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ২০২৭ ও ২০২৮ সালে অ্যাপল প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ইউনিট করে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে দাম যে সাশ্রয়ী হবে না, সেটাও আগেভাগেই জানিয়েছেন তিনি। ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য মূল্য নিয়ে কুও বলেন, এটি হবে ‘টাওয়ারিং’ বা অত্যধিক উচ্চমূল্যের একটি পণ্য।
সূত্র: ম্যাশেবল